ছাত্র ইউনিয়ন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি ইবি ছাত্র ফ্রন্টের

ইবি প্রতিনিধি: ফেসবুক স্ট্যাটাসের জের ধরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিকের বহিষ্কাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইবি ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক নেতারা।

বুধবার সংগঠনটির সাবেক সভাপতি সাইফুজ্জামান ফিরোজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাদিকের বক্তব্য নিতান্তই একটি ব্যক্তিমত। মত প্রকাশের স্বাধীনতা যে কোন গণতান্ত্রিক সমাজে অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। কারো মতামত বিশ্ববিদ্যালয় বা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অপছন্দ হলেই তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের নির্লজ্জ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের এভাবে বলি করতে পারেননা।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সাদিকের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষূণ্নকারী হিসেবে অভিহিত করলেও প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অযৌক্তিক আচরণ বিশ্ববিদ্যালয় ধারণা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পরিপন্থী, যা বিশ্ববিদ্যালয়কে শাসকের অনুগত দাস তৈরির কারখানা হিসেবে প্রতীয়মান করেছে।

সাবেক ছাত্রনেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ হেন অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক ও নির্লজ্জ আচরণের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। একইসাথে বিবৃতিতে ইবিসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষরকারী সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন সময়ে সভাপতি বা আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করা নেতৃবৃন্দ হলেন সাইফুজ্জামান ফিরোজ, পাইচিংমং মারমা, রাশিব রহমান, খালিদ হাসান ও লিটন চন্দ্র রায়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৩ জুন) সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম মৃত্যুবরণ করার আগে ও পরে সাদিকুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডি (Gk Sadik) থেকেকয়েকটি স্ট্যাটাস দেয়।

বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নজরে আসলে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

এ ঘটনায় সাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসাথে আগামী সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।। জি.কে সাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *