ছাত্র ইউনিয়ন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি ইবির সাবেক নেতাকর্মীদের

ইবি প্রতিনিধি


ফেসবুক স্ট্যাটাসের জের ধরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতাকর্মীরা।

শনিবার সংগঠনটির সাবেক সভাপতি সুমিতা বাগচী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়েছে।

প্রেস বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফেসবুকে ব্যক্তিগত মতামত বা মন্তব্য প্রকাশের কারণে কোন ছাত্রকে বহিস্কার করা সংবিধান প্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই রকম আদেশ অবৈধ, বেআইনি এবং স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর।

অবিলম্বে জি কে সাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার সুনিশ্চিত করা এবং সৃজনশীল জ্ঞান চর্চার মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নেতৃবৃন্দ আহবান জানান।

একই সাথে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্ররা বিভিন্ন ইস্যুতে মত প্রকাশ এবং সমালোচনা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী, গ্রেপ্তার এবং বহিস্কারের নিন্দা জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নিবর্তনমূলক কালাকানুন ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ বাতিলের জোর দাবী জানানো হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এডভোকেট সুমিতা বাগচী, সুশান্ত ওঝা এবং সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট তারজেল হোসেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৩ জুন) সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম মৃত্যুবরণ করার আগে ও পরে সাদিকুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডি (Gk Sadik) থেকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেয়।

বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নজরে আসলে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

এ ঘটনায় সাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসাথে আগামী সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

জি.কে সাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *