ঢালিউডের প্লেব্যাক সম্রাট জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
টানা নয় মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থেকে গত ১১ জুন একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছিলেন এন্ড্রু কিশোর। তিনি আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন।
জনপ্রিয় শিল্পীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা করেছেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে ছিলেন এন্ড্রু কিশোর।
তিনি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ ছবির ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে।
এন্ড্রু কিশোর আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীতে তালিম নেন। মুক্তিযুদ্ধের পর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
এন্ড্রু কিশোর বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতার সিনেমাতেও গান করেছেন। সিনেমার গানের জন্যই যেন জন্মেছিলেন এই গায়ক। ভক্ত-অনুরাগীরা তাকে ভালোবেসে প্লেব্যাক সম্রাট বলে ডাকে।
সঙ্গীতে উজাড় করে দিয়েছেন নিজেকে। আর বিনিময়ে পেয়েছেন কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। সেইসঙ্গে রাষ্ট্র তাকে আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত করেছে।
এই জনপ্রিয় শিল্পী দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির হাজার হাজার গান গেয়েছেন ।
কিশোরের গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি, সবাইতো ভালোবাসা চায়, বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন, ভালো আছি ভালো থেকো, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, চোখ যে মনের কথা বলে, পড়েনা চোখের পলক ইত্যাদি।