ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
ক্লাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস, নেটওয়ার্ক এবং ডাটা কিনতে সামর্থ্যবান না হওয়ায় অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ ভাগ শিক্ষার্থী । সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক অনলাইন জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। গত ২ জুলাই ৯ টি নির্দেশনা মেনে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও নির্দেশনা মানছেন না বিভাগগুলো।
বিবৃতিতে দেওয়া প্রথম নির্দেশনা হচ্ছে, অনলাইন ক্লাসের ভিডিওসমূহ ইউটিউব/ফেসবুক প্ল্যাটফর্মেও আপলোড করতে হবে যেন শিক্ষার্থীরা যেকোন সময়ে তা দেখতে পারে। কিন্তু এই নির্দেশনা মানছেন না বিভাগগুলো। শিক্ষকরা জুমে ক্লাস নিচ্ছেন এবং রেকর্ড করার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এতে করে ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, তারা বঞ্চিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, অনলাইন ক্লাসে রেকর্ড করে সেটা ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করার নির্দেশনা থাকলেও ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের কড়াভাবে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে জুম এপে ক্লাস করা আমাদের সবার পক্ষে সম্ভব না। ফিন্যান্স বিভাগের আরেক শিক্ষক ক্লাস না নিয়ে ইউটিউব লিংক থেকে শেখার জন্য বলছে। আবার মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষক তার ক্লাস নিয়ে প্রশংসামূলক পোস্ট লিখে সেটা ফেসবুকে শেয়ার করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে।
এদিকে ক্লাস রেকর্ডের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকরা নির্দেশনা মানছেন না। এতে করে এই শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পজিটিভ রিভিউ দিতেও বাধ্য করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, অনলাইন ক্লাস ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। প্রত্যেক বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা মানার ব্যাপারে আলাদাভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু কিছু বিভাগ এই নির্দেশনা মানছে না এটা আমাদের জানা ছিলো না। এরকম কোনো অভিযোগ আসলে আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে অবশ্যই কথা বলবো। কেনো এরকম করা হচ্ছে এ ব্যাপারে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।