জাতির পিতার জন্মভূমির বিশ্ববিদ্যালয় নানান সমস্যায় জর্জরিত

জাতির পিতার জন্মভূমির বিশ্ববিদ্যালয় নানান সমস্যায় জর্জরিত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ জাতির পিতার জন্মভূমি গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) নানান সমস্যায় জর্জরিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষকদের পদোন্নতি, দুটি বিভাগের একীভূতকরণ ও একটি বিভাগের অনুমোদনগত সমস্যা চলছে।

আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষকেরা শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। অবস্থানরত শিক্ষকেরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ১৫০ জনেরও অধিক শিক্ষকের পদোন্নতি বন্ধ হয়ে আছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের তাগিদ দেওয়া হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। আমরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।

এদিকে একইদিনে ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে একীভূতকরণের বিপক্ষে মানববন্ধন করেছে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নোটিসে জানতে পেরেছি ইটিই বিভাগকে পরোক্ষভাবে ইইই বিভাগে একীভূত করা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা করেনি। যদি ইটিই বিভাগকে ইইই বিভাগে একীভূত করা হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।

জানা যায়, ইটিই বিভাগকে ইইই করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ইটিই বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য ইটিই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইটিই বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত এক সেমিস্টার এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের দুই সেমিস্টার পিছনে এসে ইইই বিভাগে ক্লাস করতে হবে। এই শর্তে সম্মতি জানায় ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ক্লাস-পরীক্ষা। এখন পর্যন্ত বিভাগটির অনুমোদন এবং নিজস্ব শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। একটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষকদের দিয়ে বর্তমানে বিভাগটির ক্লাস চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বিভাগটির অনুমোদন না দিয়ে বিভাগটিতে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন শেষ করার অনুমতি দেয়। এরপরেই আন্দোলনে নামে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হলে তাদের আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। মুঠোফোনে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দাবি আদায়ের বিষয়ে অনড়। ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

এসকল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল কেটে দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment