ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
জাপানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ বছর আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড (আইবিও) চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশি দুই শিক্ষার্থী দুটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছে। এরা হলেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী রাদ শারার ও ঢাকার দি আগা খান স্কুলের শিক্ষার্থী রাফসান রহমান রায়ান। এটি রায়ানের দ্বিতীয় ব্রোঞ্জপদক।
গতকাল সোমবার (২৪ আগস্ট) আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
এ বছর এই আসরে সারা বিশ্বের ৯৫টি দেশের ৩৯০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে ২১ জন স্বর্ণপদক, ৪২ জন রৌপ্যপদক ও ৫৬ ব্রোঞ্জপদক পান। গত বছর অনুষ্ঠিত ৩০তম আইবিওতে বাংলাদেশ তিনটি ব্রোঞ্জপদক লাভ করে। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে কথাপ্রকাশ, ল্যাববাংলা ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি।
এ বছরের জীববিজ্ঞান উৎসবের যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘সূর্যোদয়ের দেশে হোক নতুন সূর্যোদয়’ এই স্লোগানে। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে থেমে যায় সে আনন্দযাত্রা। অলিম্পিয়াড এগিয়ে নিতে বিকল্প অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মাধ্যম বেছে নিতে হয় আয়োজকদের।
গত ১১ ও ১২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় এবারের আইবিও-চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ পর্ব অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। কোয়ারেন্টাইনে থাকায় বাসাকেই উপকেন্দ্র করে রাজশাহী থেকে অংশ নেন রাদ শারারকে। দলের অন্য দুই প্রতিযোগী ছিলেন তাসনিম বিনতে জুলফিকার ও আবরার জামিল। দু’দিনের আয়োজনে প্রতিযোগীরা ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
এতে বাংলাদেশ পর্বে জুরি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার, বিডিবিওর সাধারণ সম্পাদক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী এবং রাজশাহী ভেন্যুতে অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। রেজিস্ট্রার্ড সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ড. তারিক আরাফাত, সাইফ বিন সালাম, তালুকদার গালিব শাহরিয়ার, মইনুল ইসলাম খান, সামিহা সাঈদ, জিয়া হাসান, হাসান জাকির এবং রাজশাহী ভেন্যুতে মো. শাহাদাত হোসেন ও মাহদি হাসান।
ফল প্রকাশের পর রাদ শারার বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের জন্য বিশ্ব অঙ্গন থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারার যে আনন্দ, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পরব না। কিছু করার তাগিদ ও নিজের ওপর আস্থা ছিল সব সময়ই। এই অর্জন আরও দূরে যেতে আমাকে অনুপ্রাণিত করবে। এ বিজয়ের পেছনে বাবা-মা, শিক্ষক, বিডিবিও, সমকাল ও সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।
আরেক বিজয়ী রাফসান রহমান রায়ান বলেন, দ্বিতীয়বার অংশ নেওয়ায় প্রত্যাশা ও দায়িত্ব অনেক বেশি ছিল। তবুও ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে আবারও ব্রোঞ্জপদক পাওয়ার খবরটা আমাকে অনেক বেশি প্রশান্তি দিচ্ছে। আগামী দিনের প্রতিযোগীরা দেশের জন্য আরও ভালো ফল বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করি।