জীবনের জন্য নিরাপদ খাদ্য

মেহেদী হাসান বাপ্পী


আজ ৭ই জুন, “বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস”।

বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর যৌথ উদ্যোগে জাতিসংঘ খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, মানব স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কৃষি, বাজারের প্রবেশাধিকার, পর্যটন খাত এবং টেকসই উন্নয়নে অবদানের লক্ষ্যে মনোযোগ আকর্ষণ এবং পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এই বছর দ্বিতীয়বারের মতো দিবসটি পালন করছে।

নিরাপদ খাদ্যকে গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, “সবার দায়িত্ব” (Food safety, everyone’s business) । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী বা রাসায়নিক পদার্থযুক্ত অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ২০০-এর অধিক রোগ হয়, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন অসুস্থ হয় এবং প্রতিবছর ৪,২০,০০০ মানুষ মারা যায়।

তাছাড়া ৫ বছরের নিচে কমবয়সী শিশুরা শতকরা ৪০ ভাগ খাদ্যবাহিত রোগ বহন করে। এতে প্রতিবছর ১,২৫,০০০ শিশু মারা যায়।

খাদ্যবাহিত রোগগুলোর মধ্যে একমাত্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েই প্রতিবছর ২,৩০,০০০ মানুষ মারা যায়। যা সত্যি উদ্বেগের বিষয়। এমতাবস্থায় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চয়তার লক্ষ্যে মূল প্রতিপাদ্য, “নিরাপদ খাদ্য, সবার দায়িত্ব” (Food safety, everyone’s business) সামনে রেখে জাতিসংঘ কর্তৃক একটি কর্মমুখী ক্যাম্পেইন গাইড প্রণিত হয়েছে।

কর্মমুখী ক্যাম্পেইনটি বিশ্বব্যাপী নিরাপদ খাদ্য সচেতনতাকে উৎসাহিত করবে ও পাশাপাশি দেশসমূহে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী- বেসরকারী খাত, নাগরিক সমাজ, জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাসহ সাধারণ মানুষকে পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।

খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার টেবিল পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কোন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় । তার জন্য প্রয়োজন সরকার, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।


লেখকঃ  শিক্ষার্থী,
পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগ, 
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Scroll to Top