ঢাবি এবং বিএসএমএমইউ এর যৌথ উদ্ভাবন ‘নেগেটিভ প্রেসার আইসোলেশন ক্যানোপি’

ঢাবি প্রতিনিধি


করোনার হাত থেকে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালে অবস্থানরত অন্যান্য রোগীদের সুরক্ষার জন্য সম্পূর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে আবিষ্কৃত নেগেটিভ প্রেশার আইসোলেশন ক্যানোপির কারিগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ।

গতকাল শনিবার(১১ জুলাই)বিএসএমএমইউয়ের এ্যানেসথেশিয়া, এ্যানালজেশিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল সম্পূর্ণ নিজস্ব ডিজাইনে এই ক্যানোপি তৈরি করেছেন, যা বিছানার ওপরে মশারীর মত করে স্থাপন করে একজন রোগীকে আলাদা করে রাখবে।ভেতরে দূষিত বাতাস বাইরে গিয়ে পরিশোধিত হবে আবার বাইরের দূষিত বাতাস পরিশোধিত হয়ে ভেতরে প্রবেশ করার ফলে বাতাস কম দূষিত হয় এবং চারদিকের পর্দা স্বচ্ছ ও উঁচু হওয়ায় রোগী অস্বস্তিবোধ ও করবেন না।

এতে আরো বলা হয়, এই গবেষক দলের ডিজাইনে হেপা ফিল্টারের সঙ্গে বাড়তি আছে আল্ট্রাভায়োলেট আলোর প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে প্রথমেই সব জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস করে ফেলা হয়। এই ক্যানোপি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী সম্মুখযোদ্ধা কর্তব্যরত চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা বিধানে সহায়ক হবে।

গবেষণায় ক্যানোপি মেশিনটি প্রায় ৯৯ ভাগ সফল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই মেশিনটির গুণগত মান পৃথিবীর যেকোন যন্ত্র থেকে উন্নত। করোনা মোকাবেলায় এই মেশিনটা স্বাস্থ্যকর্মী এবং মানুষের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন করায় সহজলভ্য এবং স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাবে বলেও জানান তারা।আগস্ট মাসেই হাসপাতালগুলোতে স্থাপন করা যাবে নেগেটিভ প্রেসার আইসোলেশন ক্যানোপি বলে আশাবাদী গবেষকগণ। গবেষণার জন্য যন্ত্রটিতে বসানো হয়েছে ২ টি প্রটোটাইপ মেশিন। প্রাথমিকভাবে বিএসএমএমইউর ১ টি বেডে ব্যবহার হবে এটি।

এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও অনলাইনে এতে যোগ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, এ্যানেসথেশিয়া, এ্যানালজেশিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment