ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়া: হত্যা নাকি আত্মহত্যা?

সানজিদ আরা সরকার বিথী, ঢাবি


নাটোরের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন।ইসলামিক স্টাডিজ২০১৪-১৫ সেশনের ৯ম ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন।

৭ মাস আগে মৃত বাবার ইচ্ছা ছিল মেয়ে আমার বিসিএস ক্যাডার হবে।সেই ইচ্ছার বীজ হৃদয়ে বপন করে সুমাইয়া বিয়ের পর ও চেষ্টা করে যাচ্ছিল বাবার অপূর্ন ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে।

কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোক চাইত সুমাইয়া ঘরের কাজ করুক, চাকরি করবে ঘরের বউ এটা তারা মেনে নিতে পারত না।বিয়ে হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল। ৪২ দিন হল তার একটি বাচ্চা নষ্ট হয়েছে। মায়ের অনিচ্ছাসত্ত্বেও মেয়ে শনিবার শ্বশুরবাড়ি যায়, আর ফিরতে হল লাশ হয়ে।

গতকাল সকাল ৭ঃ৩০ টায় সুমাইয়ার শ্বশুর সুমাইয়ার মাকে ফোন করে হাসপাতালে যেতে বলে গিয়ে দেখে মেয়ে তার নিথর লাশ হয়ে পরে আছে পাশে নেই শ্বশুরবাড়ির কেউ।চারজনকে (স্বামী, শশুর, শাশুড়ী,ননদ)আসামি করে মামলা করা হয়েছে। স্বামী -শ্বশুর -শ্বাশুরি পলাতক।

নাটোর জেলা এসপি লিটন কুমার সাহা ফোর্স সহ শ্বশুর বাড়িতে হানা দিলে ননদকে পায়। পুলিশ জেরা করলে একেক সময় একেক কথা বলে তারা জানায় ফজরের নামাজ পরেছে সুমাইয়া অথচ ময়নাতদন্ত বলছে সুমাইয়া মারা গেছে রাত ১২ টা নাগাদ।

অতঃপর বড় ননদকে গ্রেফতার করা হয়।সুমাইয়ার পরিবারের লোকেরা মানতে পারছেননা সুমাইয়া আত্মহত্যা করতে পারেনা। তারা দাবি করছে এটা হত্যা। সুমাইয়ার ভাই জানায় বোন তার সবসময় কোরআন -হাদীস পড়ত আর পরিবারের লোকজনকে শুনাত৷

সুমাইয়ার ভাই আরো জানায় বোনকে হয়তো টাকার জন্য চাপ দেয়া হত পারিবারিক দুরবস্থার কারনে মাকে জানাতনা।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুমাইয়া হত্যার বিচারের জন্য উত্তাল শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না পুরো বাংলাদেশ সুমাইয়া হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চায়।যাতে আর কোনো সুমাইয়ার স্বপ্নের পাহাড় চুরমার না হয়ে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment