তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ তালা ভেঙে হলে ঢুকেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা । নিরাপত্তার স্বার্থে হলের তালা ভাঙতে শুরু করেছেন জবি শিক্ষার্থীরা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বিরুনী হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল, প্রীতিলতা হল, ফজিলাতুন্নেছা হল, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল, সুফিয়া কামাল হল, বেগম খালেদা জিয়া হল, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, মীর মশাররফ হোসেন হল এবং মওলানা ভাসানী হলের তালা ভেঙেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হয়ে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জাবি পরিবহন চত্বর হয়ে সোজা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দফা এক দাবি, আজকে হল খুলে দিবি’ স্লোগান দিতে থাকেন।

মাইকিং করে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় ভার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে জানিয়ে হল খোলার দাবির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারি এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এটা একান্তই সরকারি সিদ্ধান্ত। সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সরকার যে মুহুর্তে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে, সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আবাসিক হলগুলোও খুলে দেব।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা হলে উঠে পরব। যদি আমাদের বের করে দেয় তাহলে পরবর্তী কোনো ব্যবস্থা নেব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘থাকা সম্ভব হোক বা না হোক আজ আমরা হলে উঠব।’

ক্যাম্পাসের বাইরের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমি নেব নাঃ জাবি প্রক্টর

এরআগে, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া গ্রামে খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয়রা। এতে অন্তত ৩৭ জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের কয়েকটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। গভীর রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।

Scroll to Top