বিনোদন টুডে
অনেক তারকার চেয়েও এক জনপ্রিয় নাম দিলদার। তার শূন্যতা এখনো বাংলা সিনেমায় পূরণ হয়নি। আর ভবিষ্যতে পূরণ হবে না বলে মনে করেন তার ভক্তরা। তার ভক্তরা মনে করেন তার পরে আর আসেনি এমন বহুমাত্রিক হাসির মানুষ।
আজ দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এই দিনে ৫৮ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার হোসেন। এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনার ইতি টানেন। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এর পর থেকে সিনেমার সঙ্গেই ছিলেন তিনি।
দিলদারের উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- দস্যু বনহুর, নাগ নাগিনী, অস্বীকার, শাহজাদা, নবাবজাদী, সুখের সংসার, টক্কর, নাগ পূর্ণিমা, গাঁয়ের ছেলে, সোনার তরী, সিআইডি, জনতা এক্সপ্রেস, বিদ্রোহী, লড়াকু, বেঈমানের শাস্তি, ওগো বিদেশিনী, দাঙ্গা, ত্রাস, বাঁশীওয়ালা, তোমার আমার প্রেম, মরণ কামড়, ঘাত প্রতিঘাত, যোদ্ধা, জনতার বাদশা, লংকাকান্ড, মনের মিলন, টোকাই রংবাজ, স্পর্ধা, হৃদয় লেখা নাম, গরীব কেন কাঁদে, সেয়ানা পাগল, ভালোবাসি তোমাকে, রবি মাস্তান, ভয়ংকর বিষু, লাল বাদশা, আত্মপ্রকাশ, রঙ্গীন উজান ভাটি, খাইরুন সুন্দরী, স্বপ্নের নায়ক, রঙিন নয়ন মনি, কে অপরাধী, দেশ দরদী, প্রেমের কসম, উল্কা, মাতৃভূমি, বাঘা আকবর, কান্দ কেন মন, রাখাল রাজা, সাগরিকা, মধুর মিলন, লুটতরাজ, প্রানের চেয়ে প্রিয়, সুখের আশায়, আমার অন্তরে তুমি, পরাধীন, কঠিন বাস্তব, কালু গুন্ডা, ঠেকাও মাস্তান, চাওয়া থেকে পাওয়া, স্বপ্নের পৃথিবী ও বেদের মেয়ে জোছনা!শুধু দিলদারের অভিনয় দেখার জন্য অনেক দর্শক সিনেমা হলে ভিড় করতেন।
উল্লেখ্য তিনি সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন দিলদার।