দুই সেমিস্টার এক করে বছরে একটি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে: ঢাবি উপ-উপাচার্য

দুই সেমিস্টার এক করে বছরে একটি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে: ঢাবি উপ-উপাচার্য

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় হচ্ছে না ক্লাস। বন্ধ রয়েছে পরীক্ষাও। গ্রামের বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাসেও শিক্ষার্থীদের যোগ দেয়ার সুযোগ সীমিত। ফলে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগও ফলপ্রসূ হয়নি।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা কার্যক্রম এক বছরের নিশ্চিত জটে পড়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। গত ১৬ মার্চ করোনার কারণে ঢাবির ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। আর ২০ মার্চ থেকে আবাসিক হল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ ক্যাম্পাস। ঝুঁকি নিয়ে হলগুলো এখনই খোলার ইচ্ছা নেই কর্তৃপক্ষের।

তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলতে একটি গাইডলাইন করা হয়েছে। পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলে কেবল খুলবে আবাসিক হল। আগামী ৩ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসলে নভেম্বরের দিকে হল খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, এ অবস্থায় সেশনজট থেকে মুক্তি পেতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে মোতাবেক ছয় মাসের সেমিস্টার স্থগিত করে বছর শেষে একটি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তখন দুই সেমিস্টারে একটি পরীক্ষা হবে। বছরে নেওয়া ক্লাসের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষা হতে পারে।

এছাড়া ছুটি ও বন্ধের দিনেও ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হতে পারে।
প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনার মধ্যে আবাসিক হল খুলে দিতে ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে চাপ তৈরি হয়েছে। করোনার কারণে চলতি বছর ক্লাস হয়েছে মাত্র দুই মাস।

এরমধ্যে পুরোনো বর্ষের শিক্ষার্থীদের দুই থেকে তিন সেমিস্টার আটকে আছে। ফলে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা অন্তত এক বছরের সেশনজটে পড়তে পারেন। এখন তাদের শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শেষ করায় নজর প্রশাসনের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ কে এম মাকসুদ কামাল এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বছরের শুরুর দিকে কিছু ক্লাস নেওয়া গেলেও মাঝামাঝিতে হয়নি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে দুই সেমিস্টার এক করে বছরে একটি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিছু বিভাগে সেমিস্টারের দুই-একটি পরীক্ষা বাকি আছে।’ সেগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের বিকল্প নেই। এখন গোটা বিশ্বই করোনার মুখোমুখি। যারা অনলাইনে যুক্ত হতে পারবে না, তাদের জন্য রিভিউ ক্লাস হবে। এতে তারাও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *