দেশে প্রথম মেডিকেল রোবট তৈরি

মুস্তাফিজুর রহমান ফাহিম


মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিকেল নামে একটি মেডিকেল রোবট তৈরি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যয়নরত পাঁচ শিক্ষার্থী। এই রোবট চলাফেরাসহ সালাম দিয়ে নিজের নাম, দেশের নাম, জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম বলতে পারে।

পাঁচ শিক্ষার্থীর দাবি, মানুষের শরীরের তাপমাত্রা, হৃদয়ের কম্পন, অক্সিজেনের পরিমাণ ও র’ক্তচাপ পরিমাপসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নীরিক্ষাও করতে সক্ষম এটি। দেশে এটিই প্রথম মেডিকেল রোবট।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, মি. ইলেক্ট্রোমেডিকেল রোবট মানুষের শরীরের র’ক্তচাপ, র’ক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ, ইসিজি, হৃদয়ের কম্পন, (হার্টবিট), কোলেস্টরল, ইউরিক এসিড ও ব্লাড সুগার পরিমাপসহ রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে সক্ষম।

এজন্য রোবটটিতে বি পি মনিটর, ইসিজি সেন্সর, পাল্স অক্সিমেটরি সেন্সর, জি সি ইউ সেন্সর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও থার্মাল স্ক্যানার যুক্ত করা হয়েছে। আর চলাফেলা করার জন্য এরমধ্যে ক্যামেরা ও আল্ট্রাসনিক সেন্সর লাগানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এসব ফিচার ব্যবহারও করা হয়েছে।

এই কাজের প্রধান উদ্যোক্ত হলেন শিক্ষার্থী আশিকুর বলেন, ‘মেডিকেল রোবট দেশে আগে কখনও তৈরি হয়নি। আম’রাই প্রথম এটি বানিয়েছি। একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সকল পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাজ এই রোবট দিয়ে করা সম্ভব। রোবটিকে আরো আধুনিক ও উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে যেন চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতেও এটি কাজ করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘মেডিকেলে এটি কাজে আসলে আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হবে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিকেল দেশের সেরা মেডিকেল রোবট হবে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রোমেডিকেল বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. আবুল কাশেম জানান, রোবটটি বিভিন্ন বায়োমেডিকেল কাজ করতে পারে। রোগীর শারীরিক অবস্থা জানাসহ রোগীর কাছে ওষুধ ও খাবার সরবরাহের কাজটি খুব সহ’জভাবে করতে পারবে এই রোবট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের স্বল্প সাম’র্থ্যের মধ্যে এই রোবট তৈরি করেছে। কেউ অর্থায়ন করলে রোবটটিকে আরো কার্যকর করা সম্ভব।’

Scroll to Top