নবীনদের পদচারণায় মুখরিত বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস

নবীনদের পদচারণায় মুখরিত বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান উচ্চশিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতিমধ্যে অতিবাহিত করেছে নয়টি বছর। এরই মধ্যে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের পদচারণা শুরু হয়েছে।

গান আড্ডা ও বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয়ে সবাই যেন ব্যস্ত। ভর্তিযুদ্ধে জয়ী যোদ্ধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনটি বরাবরই জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সবার মনে শুরু হয়ে যায় ক্যাম্পাস নিয়ে কত স্বপ্ন, কত পরিকল্পনা।

নতুন পরিবেশ, বকিছুই নতুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন কীভাবে কাটাবে, কী কী করবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। নবীনদের বরণ করে নেওয়ার জন্য প্রবীণরাও নিতে শুরু করে প্রস্তুতি। প্রস্তুতির পর ওরিয়েন্টেশনের দিনেই সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে। নানা আয়োজন এবং আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত স্নাতক প্রথমবর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ওরিয়েন্টেশন।

পুরো ক্যাম্পাস উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছিল। নবীন শিক্ষার্থীরা অনেক সকাল থেকেই ক্যাম্পাস প্রঙ্গণে আসতে শুরু করে। অনেক নবীনের সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসেন তাদের অভিভাবকও। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রবীণরাও এসেছিল নানা আয়োজনে নবীনদের বরণ করে নিতে। ছেলেরা এসেছিল পাঞ্জাবি, শার্ট-কোট-টাই পরে, কেউ কেউ আবার শীতে চাদর মুড়ি দিয়ে এসেছিলেম। ছাত্রীদের কেউ কেউ এসেছিল শাড়ি পরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ মিলে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয় ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান।

নবাগত শিক্ষার্থীদের গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। ওই দিন পূর্ববর্তী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান কয়ার হয়। এ সময় শিক্ষকরা তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় নবীনদের।

অনুষ্ঠান শেষে সবাই যখন বেরিয়ে আসে তখনই আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ। সবার হাতে রয়েছে ফুল, সবাই পরিচিত হচ্ছে একে অপরের সঙ্গে। কেউ কেউ ব্যস্ত সেলফি তোলা নিয়ে। অনেকেই বসে গিয়েছিল টং দোকান কিংবা ক্যাফেতে আড্ডা দিতে। এমনি আনন্দ-উল্লাসে কেটেছে পুরোটা দিন।

আনন্দ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। এই প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আমরা সবাই গর্বিত। ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাই। পাশাপাশি যেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেছি, সেটা অর্জন করতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *