নিরাপত্তাহীনতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা, প্রশাসন নিশ্চুপ!

ইকবাল মুনাওয়ার, কুবি প্রতিনিধি


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন নিরপত্তা ও সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে র‌্যালী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় “প্রশাসন চুপ কেন ? ধিক্কার ধিক্কার”, “ছিনতাই মুক্ত ক্যাম্পাস চাই”, “ক্যাম্পাসের প্রাচীর নেই কেন? ধিক্কার ধিক্কার”, ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে দাড়াতে দেখা যায়। পরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর বিভিন্ন দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে আনিত শিক্ষার্থীদের দাবীগুলো হল, হয়রানি ঘটনার প্রতিকার, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন মাঠে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ, বিভিন্ন স্থানে সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা দায়ের এবং পুলিশি অভিজান পরিচালনা করা।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, তাই আন্দোলনে দাঁড়িয়েছি। প্রাশাসনের উচিত আমাদের বোন হয়রানির দ্রুত বিচার করা। নিরাপত্তার জন্য সীমান প্রাচীর তৈরী করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিশ্বববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবী গুলো আমরা জেনেছি। তাদের দাবী যৌক্তিক। তবে সীমানা প্রাচীর এবং ক্যামেরা স্থাপনের মত বড় বাজেটের কাজ গুলো একদিনে সম্ভব নয়। বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে করা হবে। আমরা নিরাপত্তা জোরদারে নতুন করে প্রহরী নিয়োগ দিব। আর ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রনে শক্ত অবস্থান বজায় রাখব।”

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যান্তরে এমন ঘটনা মেনে নেয়ার মত নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। যেহেতু সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ব্যায়বহুল। তাই জরুরি ভিত্তিতে আমরা এখন কাঁটা তারের ব্যারিকেডের ব্যাবস্থা করব। আর সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপনে কাজ চলছে। আমরা এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করব। মামলার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। তারা মামলা যাবতীয় কাজ পরিচালনায় আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১২’ই মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মাঠে অর্থনীতি বিভাগের এক ছাত্রীকে বহিরাগত বখাটে কর্তৃক হেনস্তা হলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে ক্ষোভ বিরাজ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *