দীপিকা রায়
হে পথিক,
তোমার যা কিছু ছিল প্রয়োজন
সবে’ই তো নিয়েছিলে সাথে;
যাত্রার শুরুতে, সেই প্রথম প্রভাতে।
তবু কেন মুখখানা এত আনমনা
নিগূঢ় আঁধারে গেছে ঢেকে!
পিছনে ধাবিত বাতাস ও ওঠে ডেকে,
চলমান পথ কী তাকায় পিছে!
তুমি কেন বারবার ফিরে দেখো মিছে?
হে পথিক,
কম্পিত কেন পদক্ষেপ তোমার?
দেখনি সময় চক্রাকার!
আর কত ভাঙবে জয়ের উজ্জ্বল মূর্তি;
দোটানার বাহানায় লুণ্ঠিত প্রহর
রুদ্র বৈশাখের দ্রোহে কাঁপে,
কামপীড়িত সঙ্গমে ধরাধাম তাপে।
কি দেখবে পশ্চাতে?
ওরা উলঙ্গ লস্কর,
সমুদ্র সম্ভোগে মাতে হারায় নঙ্গর।
হে পথিক,
দেখো তাকিয়ে সূর্যটা ঢুলঢুল
আর কয়েক মুহূর্ত বাকি;
শীঘ্র’ই ধরিত্রী হবে রাতের সম্রাজী।
শোনো, বিকেলের দোয়েল হয়ে কে ডাকে?
সে কি আগুন্তুক মহাকাল!
যার প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে বয়েছে ত্রিকাল,
যে শত সাফল্যের ফুল কুড়িয়ে মালা গাঁথে,
পরায় যতনে যুগের গলাতে।
হে পথিক,
কি আছে তোমার?
দিতে পারো তাঁকে।