পাশের হার শতভাগ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ জন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক:চলতি বছরের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যে ১৪টি বিদ্যালয় শতভাগ পাশের কৃতিত্ব দেখিয়েছে তার মধ্যে নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একটি। কিন্তু শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিলো মাত্র ৫ জন। যদিও এর মধ্যে জিপিএ-৫ পায় নি কেউই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে উপজেলার একমাত্র সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বেহাল দশার কথা। বিদ্যালয়টিতে একটি চারতলা ও একটি তিনতলা ভবন থাকলেও শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ২৯৩ জন। চলতি বছর থেকে বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়েছে। এতকিছুর সত্বেও শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ৫ জন । এমনকি প্রধান শিক্ষকের পদটিও দীর্ঘ দিন ধরে খালি রয়েছে।

উপজেলা সদরের এটি একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়। আবার উপজেলার ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এটিই একমাত্র সরকারি। প্রতিষ্ঠার দিক থেকেও বেশ পুরোনো ৫০ বছর বয়স। সরকারি হয়েছে ৩৩ বছর আগে।

গত কয়েক বছরের শিক্ষার্থী হার থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পরবর্তীতে এর হার কমতে থাকে। বিশেষ করে জেএসসি পরীক্ষার পর নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর হার খুবই কমে যায়। এ বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৬০ জন, সপ্তম শ্রেণিতে ৮১ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৮৯ জন, নবম শ্রেণিতে ৪৩ জন ও দশম শ্রেণিতে ২০ জন রয়েছে। অর্থাৎ আগামী বছর মাত্র ২০ জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।

স্থানীয় অভিভাবকদের ধারনা, এ বিদ্যালয় থেকে পড়ে নাকি ভালো কোনো চাকরি পাওয়া যায় না এবং অবমূল্যায়ন করা হয়।একারণে তারা অন্যান্য স্কুলের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। এক অভিভাবক সমাবেশে উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য এসব কথা শুনে একটু বিস্মিত ই হলেন।

ইউএনও নাজমা আশরাফী বলেন,অভিভাবক সমাবেশে অভিভাবকদের কথা শুনে এম.পি মহোদয়সহ আমরা অবাক হই। সরকারি ওই স্কুলটিতে একাধিক কারণে শিক্ষার্থী কম বলে আমার কাছে মনে হয়। আমি যোগদানের পর চেষ্টা করেছি ওই স্কুলটির প্রচারণার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করার।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর মিয়া বলেন, বিভিন্ন কারণেই বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরীক্ষার্থী কম হয়। বিশেষ করে জেএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু পর এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জেএসসিতে ফেল করলে নবম শ্রেণিতে উঠার সুযোগ থাকে না বলে অনেকেই ছিটেক পড়েন। এ ছাড়া অনেকের বিয়েও হয়ে যায়।কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *