উজ্জ্বল মন্ডল কৃষ্ণময়ঃ বলছিলাম জাতির পিতার জন্মভূমি: গর্বিত গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর তীরে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের না বলা কথা।প্রাণ-প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানিতে বিকশিত হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
যে বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ সংগ্ৰহশালা হয়ে উঠেছে। সারাবছর নানা ধরনের ফুল ও পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত অনন্য ক্যাম্পাস। তবে শীতের সময় সবুজের ক্যাম্পাস ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে আসে। সকালে কুয়াশায় মোড়ানো শিশির ভেজা ক্যাম্পাস হঠাৎ প্রাণ ফিরে পায় ক্যাম্পাসিয়ানদের পদচারণায়।
সকাল-সন্ধ্যা শিক্ষার্থীরা আবেগ ভালবাসায় মেতে ওঠে ফুচকা, চটপটি, হোটেল ও চায়ের টোঙে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহশিক্ষা কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক গান-বাজনা, বন্ধুদের সাথে জয় বাংলা চত্বর, আইন চত্বর, শেখ হাসিনা চত্বর , অর্ঘ্য চত্বর, বাঁধন চত্বর ও লেক পাড়ে আড্ডা, আন্ত:বিভাগীয় ও আন্ত:হল ব্যাটমিন্টন, ভলিবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতায় উৎসব মুখর হয়ে ওঠে আমাদের প্রাণের বশেমুরবিপ্রবি।
আজকের করোনা পরিস্থিতিতে প্রাণোচ্ছল প্রিয় ক্যাম্পাস প্রাণ হারিয়েছে। শূন্য প্রান্তর মাথা উঁচু করে প্রতীক্ষা করছে কখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ শিক্ষার্থীরা তার সাথে লুকোচুরি খেলবে। সত্যি বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাণের বশেমুরবিপ্রবিকে মিস করছি।
কবিগুরুর ভাষায় বলতে চাই–
আছে দুঃখ,আছে মৃত্যু,
বিরহদহন লাগে তবুও শান্তি,
তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।
লেখক- আইন বিভাগ, তৃতীয় বর্ষ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।