ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা

ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা

আরাফাত হোসেন, জিটিসি প্রতিনিধি


ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থী নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছেন।। আত্মহত্যার পূর্বে সমাজ ব্যবস্থকে দোষারোপ করে ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম মজিবুর রহমান সাইমন । তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজের ২০১৪-১৫ সেশনের ফিন্যান্স বিভাগে অধ্যয়নরত ছিলেন।

আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে মতিঝিলের একটি বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ফেসবুক আইডিতে ওই শিক্ষার্থীর নাম এসএম সাইমন। তিনি তিতুমীর কলেজের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী।

তার দেয়া সর্বশেষ ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি দ্য ক্যাম্পাস টুডে-এর পাঠকদের কাছে হুবহু তুলে ধরা হলো-



যারা সুইসাইড করে তাদের সবসময় ভীড়ু, কাপুরষ বলে ভাইবা আসছি… যারা জীবন থেকে পালানোর সহজতম রাস্তা বাইছা নেয়…. কখনো ভাবি নাই নিজেই এমন অবস্থায় এসে দাঁড়াবো…
কিন্তু আমাদের সমাজ, আমাদের সিস্টেম, পারিপার্শ্বিক অবস্থা আজকে আমাকে এই জায়গায় দাড় করাইছে…. আমার মধ্যে এই অনুভূতি আজকে প্রবলভাবে কাজ করে যে আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না… আমি শুধুমাত্রই একটা বোঝা….. যার থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো…
একটা সময় নিজেকে নিয়ে প্রচুর কনফিডেন্ট ছিলাম…. এখন সেই জায়গায় কাজ করে হীন মন্যতা….
আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই…. খালি কিছু মানুষকে নিয়ে আফসোস… যারা নিজেদের স্কলার ভাবে, মানবিকতার হাদিস দেখায় শুধুমাত্র নিজেদের সার্থ হাসিলের সময়…. তারা নিজেরাও জানে না তারা আসলে স্কলার না… আমার চেয়েও বড় বোঝা….
আফসোস তাদের প্রতি যারা বর্তমান নিয়ে ব্যস্ত.. ভবিষ্যৎ কে নূন্যতম বিচারেও রাখে না…
আফসোস তাদের প্রতি… যারা একটা মাত্র সুযোগ দিতেও আগ্রহী নয়….
আশা ছিলো বাবা-মা কে পুরা বাংলাদেশ দেখানোর, ছোট ভাইটাকে আমার অপ্রাপ্তিগুলো পুরন করানোর… কিছুই হইলো না…. মাফ করে দিয়ো আব্বু-আম্মু… তোমাদের ছেলে যে নিজের কাছেই হেরে বশে আছে…. মানুষের আত্মসম্মানবোধটাই জখন না থাকে তখন সে নিজের কাছেই মরে যায়… তাই আর অন্যদের জন্য বেঁচে থেকে কি লাভ!
“আমি, এস এম মজিবুর রহমান সায়মন, সুস্থএ মস্তিষ্কে, স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি… এর জন্য কেউ দায়ী নয়”
বিদায় পৃথিবী…
বিদায় সুশীল সমাজ….
বিদায় সমাজব্যবস্থা…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *