ফেনীতে বিজয়া দশমী সম্পন্ন
দেলোয়ার হোসেন, ফেনী প্রতিনিধি
যথাযোগ্য মর্যাদায়, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এবার সারাবিশ্বে করোনা মহামারী থেকে মুক্তি চেয়ে দেবীদূর্গার কাছে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ফেনীতে বিজয়া দশমী সম্পন্ন করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ফেনীর কালিপালে দশমী ঘাটে বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হল শারদীয় দূর্গোৎসব।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে প্রতিমা বিসর্জন পূর্বে দশমীঘাটে বিজয়ার শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজীব খগেশ দত্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি কম,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন ও ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন।
এসময় জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফখরুল ইসলাম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যবৃন্দ, জেলা, উপজেলা ও পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, আগামীতে কালিপালে দশমীঘাটে বিসর্জনের স্থান আরো বৃদ্ধি করা হবে। যাতে আরো বড় পরিসরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দূর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে পারে। তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম ও ভেদাভেদ ভুলে সবাই দূর্গাপূজায় আনন্দ করেছে। সরকারি বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতায় নিরাপদে-নির্বিঘ্নে জেলাব্যাপী পূজা সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
দশমীঘাটে আগত ভক্তরা জানান, করোনা থেকে সারাবিশ্বের মানুষ যেন পরিত্রাণ পায়, এবার দূর্গাপূজায় বিশেষ প্রার্থনা ও মঙ্গল কামনা করা হয়।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, করোনার কারণে এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাতৃদেবীর আরাধনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সনাতনীরা বিশ্বাস করি এবার মা দূর্গা পৃথিবী থেকে করোনা নামক ভাইরাস উঠিয়ে নিয়ে যাবেন। এতে বিশ্ববাসীর মাঝে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসবে।
শেষে ভক্তবৃন্দরা উলুধ্বনি ও মন্ত্রের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে আগত প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গোৎসব গত ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে সোমবার বিজয়াদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।