বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করলেই দেখা মেলে ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতাদের, যাদের জীবন-জীবিকা পুরোপুরিই নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ওপর।
শিক্ষার্থীরা সাধারণ মামা বলেই ডাকেন এই সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালু থাকলে আয়ের চাকা সচল থাকে নতুবা বন্ধ হয়ে যায় মামাদের আয়ের পথ।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (বশেমুরবিপ্রবি) রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতা। করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় এই সকল ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতাদের অর্থাৎ ক্যাম্পাস মামাদের আয় বন্ধ। পরিবার চালাতে পড়েছেন বিপাকে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু চায়ের দোকান। সম্প্রতি করোনার মহামারিতে এসকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয়ের পথ যখন রুদ্ধ,জীবনযাত্রা যখন স্থবির তখন মামাদের পাশের দাঁড়িয়েছে বশেরমুরবিপ্রবির একদল শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৫ই মে) ১৭ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে ১৫ কেজি চাল,৪ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ১ প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই, ১ লিটার তেল এর প্যাকেজ উপহার সামগ্রী তুলে দেয় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ, নাঈম, রাফি শফিকসহ পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নাবিলা।
উপহার সামগ্রী বিতরণ সম্পর্কে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন,’ আজ মামাদের সাহায্য করতে পেরে আমরা খুব ই আনন্দিত। সমগ্র কৃতজ্ঞতা জানাই ১২ হাজার বশেমুরবিপ্রবিয়ানদের যাদের অনুপ্রেরণা আর আর্থিক সহায়তায় আমরা উপহার সামগ্রী মামাদের হাতে তুলে দিতে পেরেছি’।
উপহার সামগ্রী পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল (ছেলেদের) গেটের সামনের চায়ের দোকানদার কালন মিয়া, ‘বলেন করোনার মধ্যেও মামারা যে আমাদের কথা মনে রেখেছেন, ছাত্র হয়েও আমাদের কষ্টের ভাগীদার হয়েছেন এজন্য আমরা খুবই কৃতজ্ঞ। সৃষ্টিকর্তা এই ভার্সিটির সকল ভাইগ্নাদের মঙ্গল করুক’।