বাংলাদেশের ইতিহাসে বিসিএসে দুইবার প্রথম হয়েও ছাড়েননি শিক্ষকতা

বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন মানুষই বিসিএসে দুইবার প্রথম হয়েছেন। তিনি হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সি‌স্টেমস্ বিভাগের প্রফেসর নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এফসিএমএ।

এই মেধাবী মানুষটির গল্প এখনও লোকমুখে প্রচলিত। প্রেরণার উৎস হিসেবে লাখো মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই অসাধারণ মেধাবী মানুষটি।

অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার বিসিএস পরীক্ষার ভাইবার গল্পটি অনেকেরই অজানা। নাজিম উদ্দিনের সমাদৃত সেই গল্পটি পাঠকদের জন্য পাঠিয়েছন দ্য ক্যাম্পাস টুডের ঢাবি প্রতিনিধি সানজিদ আরা সরকার বিথী।

সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে বেরিয়েছে ছেলেটি। পাশ করেই অংশ নিলেন বিসিএস পরীক্ষায়। নিজের পরিশ্রম আর একাগ্রতার ফল হিসেবে প্রথম হলেন (১০ম) বিসিএস পরীক্ষায়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে প্রথম হয়েও সেই চাকরিতে যোগদান করলেন না ছেলেটি।

কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হল নাজিম উদ্দিন ১০ম বিসিএসে প্রথম হয়েও ১২ তম বিসিএসে আবার পরীক্ষা দিয়ে আবারো প্রথম স্থান অর্জন করল।

তিনি আবারও বিসিএস ভাইভাতে উপস্থিত! ভাইভা বোর্ডের উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে দেখল এই ছেলে ১০ম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম মেধাস্থানে ছিল!

বোর্ড কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করলেন, “জনাব, নাজিম উদ্দিন, আপনি কেন আগেরবার প্রথম হয়েও সিভিল সার্ভিসে যোগদান করলেন না?”

উত্তরে নাজিম উদ্দিন জানালেন, ‘আগেরবার বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন, তাই আর সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন নি।

তারপর, বোর্ড কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করলেন, “এবার কেন আপনি আবার বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন?”

উত্তরে নাজিম উদ্দিন যা জানালেন তাতে বোর্ড কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ!

নাজিম উদ্দিনের উত্তর, “আসলে আমি একটু যাচাই করে দেখলাম, আমার সেই মেধা আর প্রস্তুতি ঠিক আছে কিনা!”

তিনি দ্বিতীয় বারেও বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু যোগদান করেননি, পেশা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকেই বেছে নেন।

তিনি শিক্ষকতার মাঝেই নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে চেয়েছেন। হারিয়ে যেতে চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে। খুঁজে পেতে চেয়েছেন মানসিক প্রশান্তি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment