ফজলুল হক পাভেল
বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর পুর্তি উপলক্ষে হেরিটেজ আর্কাইভস ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আয়োজনে আজ বরেণ্য ও খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের সত্তর বছরে পদার্পণকে কেন্দ্র করে তাঁর জীবনের বিচিত্র সকল বিষয় নিয়ে দিনব্যাপী শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফুল দিয়ে বরণ করা হয় মুনতাসীর মামুন ও আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন শেষে হেরিটেজ আর্কাইভস এর স্থানিয় ইতিহাস জার্নালের মোড়ক উন্মোচনের পর সম্মাননা স্মারক প্রদান শেষে মুনতাসীর মামুনের জীবন ও কর্ম নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পাঁচটি সেশনে সাজানো অনুষ্ঠানটির প্রথম অধিবেশন শুরু হয় সকাল নয়টায়। সেমিনারের উদ্বোধনী আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন হেরিটেজ আর্কাইভস এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। অতঃপর সম্মানিত অতিথি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানের সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে প্রথম অধিবেধনের সমাপ্তি ঘটে।
পরবর্তী অধিবেশনগুলোতে পর্যায়ক্রমে মুনতাসীর মামুনের ইতহাস নিয়ে বিচিত্র বিচরণ নিয়ে নানাবিধ বিষয় নিয়ে সভাপতি ও সঞ্চালকের সমন্বয়ে নয়টি প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. মো. মাহবুবর রহমান, ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান, মামুন সিদ্দীকী, ড. চোধুরী শহীদ কাদের, ড. আহমেদ শরীফ, ড. মোল্লা আমীর হোসেন, শংকর কুমার মল্লিক, মো. বেলাল হোসেন, তপন পালিত এবং মিঠুন সাহা। প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন, ড. তসিকুল ইসলাম রাজা, ড. আবুল কাশেম, ড. একে এম জসিম উদ্দিন, ড. মো. মনিরুজ্জামান, ড. মো. মোকবুল হোসেন, ড. সাজ্জাদ বকুল সহ আরো অনেকেই।
বিশিষ্ট ফোকলরবিদ অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান খান তাঁর বক্তব্যে বলেন- মুনতাসীর মামুন কেবল একজন বরেণ্য ইতহাসবিদই নন, তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। আয়োজনের মধ্যমণি ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি আজ গর্বিত। জীবদ্দশায় আমাকে নিয়ে এমন আয়োজন দেখে যেতে পারছি। কর্মেই মুক্তি খুঁজেছি, কর্মেই আনন্দ খুঁজেছি এবং যা লিখেছি তা ক্রোধ থেকে লিখেছি। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর এম. আব্দুস সোবহান বলেন, মুনতাসীর মামুনকে সম্মানিত করে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। এই আয়োজর করতে পেরে আমরা আনন্দিত। সব শেষে মুনতাসীর মামুনের একক প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।