বাবা দিবস: ঢাবি শিক্ষকের আবেগঘন স্ট্যাটাস

ফেসবুক পাতা: ছেলের ক্যারিয়ার গড়ে দিতে একজন বাবা কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন, তা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান।

তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-

“একজন বাবা নিজেকে উজাড় করে দিয়ে ছেলে মেয়েদের ক্যারিয়ার কীভাবে গড়ে তোলেন আমি তা নিজ চোখে দেখেছি। সারারাত না ঘুমিয়ে ছেলে-মেয়ের পাশে বসে থাকা, সারাদিন পেছনে লেগে থাকা, সবসময় শুধু আমাদের কথা ভাবা, কীভাবে ভাল ফলাফল করা যায়, জীবনে বড় বড় মানুষের গল্প বলা, তাদেরকে অনুসরন করা, পারিবারিক শিক্ষা, শ্রদ্ধাবোধ, রাতে বাড়ির বাইরে না থাকা, অযথা সময় অপচয় না করা, সবসময় উৎসাহ দেওয়া, এগুলো ছিল আমার বাবাকে নিয়ে বলা।

উনি অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন। এখন প্রতিদিন তাঁকে আবিষ্কার করি। কতনা কষ্ট করেছেন আমাদের জন্য! সবকিছু দেখার আগেই চলে গেলেন! আমাদের জীবনে এ শূন্য পুরন হবার নয়।

আজ বাবা দিবসে অফুরান ভালবাসা তাঁর প্রতি। জীবনে প্রতিটি কাজে, সাফল্যে যিনি ছিলেন আমার অনুপ্রেরনা। এখন মাঝে মাঝে অনেক কিছুতেই হাপিয়ে উঠি। আজ বাবা বেচে থাকলে হয়ত এগুলো কিছুই মনে হতনা!

জীবনে কতদূর যাব কিংবা কি পেয়েছি? মনে হয় উপর থেকে সবকিছু দেখছেন আর বলেছেন, এগিয়ে যাও খোকা, আমি তোমার পাশে বসে আছি। পরিবারের জন্য নিজের সেরাটা বিসর্জন দিয়ে বাবা আমার দূর আকাশে হারিয়ে গেলেন! এখন প্রতি কাজে প্রতি মুহূর্তে তার নীতি, আদর্শ একাগ্রতা, উৎসাহ আমি মিস করি।

পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ মেলে প্রশস্ত বৃক্ষের মতো ছায়াদানকারী বাবার বুকে। শত আবদার আর নির্মল শান্তির এ গন্তব্যটি কারোরই অজানা নয়।
শত রাগ, গাম্ভীর্য আর অনুশাসনের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা কোমল স্নেহময় রূপ বাবা।

তিনিই তো সন্তানদের শেখান কীভাবে পাড়ি দিতে হয় জীবনের অলিগলি আর আঁকাবাঁকা বন্ধুর পথ। তারপরও হাজারো জড়তা ভেঙে হয়তো বাবাকে বলে ওঠা হয় না, ‘বাবা, তোমায় খুব ভালোবাসি’।

ভাল থাকুক আমার বাবা, সব সময়ের সেরা মানুষটি এ কামনা করি আমৃত্যু।”

Scroll to Top