বাস ভাড়া বৃদ্ধি ৮০% থেকে ৬০%! এ নাটকের শেষ কোথায়?

আবু জাফর আহমেদ মুকুল


বিআরটিএ প্রস্তাবিত রোববার (৩১ মে) দুপুরে বাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬০ শতাংশ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। যা করোনায় অসহায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের আরও বেশি বিপর্যস্ত ও হতাশাগ্রস্ত করেছে। গতকাল এক বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখলাম চট্টগ্রামে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বাসে মারামারি চলছে।

এটাই আমাদের দেশীয় বাস্তবতা। যারা সরল মনে বাস মালিকদের বিশ্বাস করে বাস ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করেছিলেন। তারা আসলে বাস্তবতার বাইরে জগতে রয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

বিষয়টা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সেই গানের লাইনের মতো “আজ দুজনার দুটি পথ, ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে”।

একদিকে জনগনের দাবি আর অন্যদিকে বিআরটিএ সুপারিশ এ যেন সোজা পথ না ধরে বাঁকা পথে ধরে চলার মতো। তবে সকলের কথা বিবেচনা করে পথটি মসৃণ হওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, কৃষি ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা ও গবেষনা ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর কোন বিকল্প নেই। আর এই ঢেলে সাজানোর উপায় হলো এই মন্ত্রণালয়গুলোর অধীনে যে সকল স্বায়ত্ত্বশাসিত বা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি কমিয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন লোককে নিয়োগ প্রদান করা। এখানে যোগ্যতাসম্পন্ন লোক বলতে যার মেরুদন্ড আছে এবং বিচার বিশ্লেষণ করে নিজে জনগনের পক্ষে ভাল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। যার সিভি দেখে দেশের সকল লোক গর্ব করতে বলতে পারে। সে এই সেক্টরে একজন সৎলোক এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে পজিটিভ কিছু করতে পারে।

আমাদের দেশের বড় সমস্যা বেশির ভাগ শিক্ষিত লোক টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়। তাছাড়া এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নিবার্হীকে প্রভাবশালী লোকজনের সুপারিশে নিয়োগ প্রদান করা হয়। যার ফলে তারা ঐ সকল প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নানা রকম সুবিধা-প্রদান করে থাকে । আমরা সবাই কম-বেশি বিআরটিএ সম্পর্কে জানি কিভাবে বিআরটিএ গাড়ির লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়? কিভাবে বাস মালিক নামক লেবাসধারী প্রভাবশালী নেতাদের সুবিধা প্রদান করে?

যেখানে বিআরটিএ ফিটনেসবিহীন গাড়ী চলাচলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না, সেখানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে গাড়ি চালাতে বাধ্য করবে এটা জনগনের কাছে কখনোই বিশ্বাসযোগ্য নয়।

কয়েকদিন আগে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ এর একটি লাইভ প্রোগ্রাম প্রোগ্রাম দেখতেছিলাম। সে বলেছিলেন, ”দুর্নীতি আমাদের রন্ধ্র্রে রন্ধ্র্রে ঢুকে গিয়েছে।” কথাটি সত্য ও সঠিক।

সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার “দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ” বাস্তবায়নের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ওবায়দুল কাদেরকে দেখেছি বিআরটিকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য হঠাৎ কয়েকবার পরিদর্শনে গিয়েছেন এবং সেজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করি, মন্ত্রী মহোদয় পরিবহন সেক্টরে সকল চাঁদাবাজি বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন এবং এর মাধ্যমে এমনিতেই পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে বিআরটিএ তাড়াতাড়ি ভাল কিছু করে ফেলবে এটা আশা করি না। তবে এটা সবাই প্রত্যাশা করে, করোনা কালীন সময়ে বিআরটিএ জাতীয় স্বার্থে অবশ্যই মানবীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করা উচিত। যথারীতি বাস মালিকরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিআরটিএ এর প্রভাব বিস্তার করে ৮০% ভাড়ার সুপারিশ আদায় করেছে । কারন বাস মালিকরা জানে, বিআরটিএ বেশি বাস ভাড়ার সুপারিশ করলে সরকারি কর্তৃপক্ষ হয়ত ১০%-২০% কমাবে, তারপরও তারা অধিক লাভবান হতে পারবে।

তবে এটি স্পষ্ট একটি নাটক যা অনেক আগেই মঞ্চস্থ হয়ে গেছে। দুঃখ লাগছে এটা ভেবে যে, আমাদের দেশে নীতিনির্ধারকরা গাড়ির মালিকদের বুদ্ধির কাছে পরাস্ত হয়। স্টিয়ারিংটা পরিবহন নেতাদের হাতে সবসময় থাকে বলে দেশের পরিবহন খাতের আজকে এই দূরবস্থা। এটাও অনেকে বলতে পারেন নাটক। তবে এটা সত্যিকারের নাটক হতে পারে। নীতি নির্ধারকদের একটি বিষয় বুঝা উচিত, করোনা পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যবিত্ত সকলের আর্থিক অবস্থা ভাল যাচ্ছে না। এজন্য আপনারা এতোদিন তাদেরকে ত্রাণ দিলেন এবং টাকা পয়সা দিলেন এখন কিনা তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে তাদের কাছ থেকে টাকাগুলো নিতে যাচ্ছেন এটা কোন যুক্তিতে?

আর যদি বাস ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা নেন তাহলে দিন মজুরের ৬০% পারিশ্রমিক টাকা প্রদান করেন এবং মধ্যবিত্ত আয়ের লোকদের বেতন বৃদ্ধি করুন। তবে আমরা জানি বাংলাদেশে বাসগুলো এক সিট থেকে আরেক সিটের যে দূরত্ব তা ১ মিটার কখনোই হবে না। সুতরাং সিট খালি রেখেও স্বাস্থ্য বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে আর ভাড়া বাড়াচ্ছেন কেন? যদি আমার আর্থিক সামর্থ থাকে তাহলে আমি এক সিট ফাঁকা নিয়ে যাব আর যদি আমার আর্থিক সামর্থ না থাকে মাস্ক পড়ে পাশের জনের সাথে কথা না বলে সিটে বসবো। এভাবে করলে এখন ও পরবর্তী সময়ে ভাড়া বাড়তো না। তবে একটি বিষয় সত্যি যে, যারা ভাবছেন অতিরিক্ত যাত্রী উঠবেন না এবং অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চললে স্বাস্থ্য বিধি মানা হবে। তারা আসলে হয় নাটকের অভিনেতা সেজে অভিনয় করছেন নাহলে মালিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মাঠে কাজ করছেন।

করোনা কালীন সময়ে উচিত-বাস ভাড়া কমানো। প্রয়োজন হলে যোগাযোগের মতো বড় সেক্টরে সরকার প্রোণোদনা দিবে। অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি নীতি নির্ধারকদের এতো সাজেশন কেন দিচ্ছি? কারন একটি আমরা ২০০৭ সালের ২০শে অগাস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের আন্দোলনের মাধ্যমে পরবর্তীতে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার হটিয়ে গনতন্ত্র ফিরিয়ে এনে নীতি নির্ধারকদের নির্বাচিত করেছিলাম। আমি নিজেও তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলাম।

সুতরাং আপনাদের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা এবং আমাদের সাধারন জনগনের কথা আপনাদের অবশ্যই ভাবতে হবে এটার কোন বিকল্প নেই। এ বিষয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানে ৯ মাস কারাবরণ শেষে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়ার প্রথম ভাষণে বলেছিলেন “নতুন করে গড়ে উঠবে এই বাংলা,বাংলার মানুষ হাসবে, বাংলার মানুষ খেলবে, বাংলার মানুষ মুক্ত হয়ে বাস করবে, বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খাবে এই আমার সাধনা এই আমার জীবনের কাম্য আমি যেন এই কথা চিন্তা করেই মরতে পারি এই আশীর্বাদ এই দোয়া আপনার আমাকে করবেন।”এই আদর্শ সকলকে ধারন করা প্রয়োজন।

ঢাকায় পাঠাও বা উবার বন্ধ। গণপরিবহনে চেয়ে পাঠাও বা উবার বন্ধ ঝুঁকি কম। আমি নিজেও কয়েকদিন যাবৎ ভাবছি একটি সাইকেল কিনে নিব। তাতে করে আমার ব্যায়াম হবে এবং ঝুঁকিমুক্ত থাকা যাবে। কিন্তু হঠাৎ করে মনে হলো, আমি যে সাইকেল চালাবো সেটার জন্য ঢাকার রাস্তায় আলাদা কোন লেন নেই, যার ফলে এটিও একটি বড় ঝুঁকি। এর আগে দেখেছি আমরা অনেকেই ভিআইপি লেন বা সংস্কৃতি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আজকে যদি ঢাকার রাস্তায় সাইকেলের লেন থাকতে তাহলে আমার মতো অনেক লোকজনের গণপরিবহন নিয়ে এতো চিন্তা করতো না।

আমার এলাকা ঢাকার কাছে বিক্রমপুরের শ্রীনগরে মুন্সিগঞ্জ জেলায়। মাত্র ৩০ কিলোমিটার সেখানে নন-এসি বাস ভাড়া রাখা হয় ৬০ টাকা। তখন প্রতি কিলোমিটার ছিল ১.৬০ টাকা। প্রকৃত ভাড়া দাড়াঁয় ৪৮ টাকা। তার মানে বাস মালিকরা অনেক আগে থেকেই প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ১২ টাকা নিতেন। এই চিত্র শুধু মুন্সিগঞ্জ নয়, সারা বাংলাদেশে সব জেলায় নন-এসি বাস ভাড়ার চিত্র একই রকম। দূর পাল্লার বাসের জন্য তখন প্রতি কিলোমিটার ছিল ১.৬০ টাকা।

ঢাকা-মাওয়া হয়ে খুলনার দূরত্ব প্রায় ২২৮ কিমি, নন-এসি বাস ভাড়া হওয়ার কথা ৩২৫ টাকা, রাখা হয় ৪০০ টাকা, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া রাখা হয় ৭৫ টাকা। ঢাকা-নাটোর হয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ এর দূরত্ব প্রায় ৩০০কিমি, নন-এসি বাস ভাড়া হওয়ার কথা ৪২৬ টাকা, ভাড়া রাখা হয় ৬০০ টাকা, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া রাখা হয় ১৭৪ টাকা। ঢাকা থেকে নাটোরের দূরত্ব প্রায় ২০০কিমি, ভাড়া হওয়ার কথা ২৮৪ টাকা, রাখা হয় ৪০০ টাকা, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া রাখা হয় ১১৬ টাকা।

ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিমি, ভাড়া হওয়ার কথা ৩৫৫ টাকা, রাখা হয় ৪৮০ টাকা, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া রাখা হয় ১৩৫ টাকা। আর ঢাকা শহর ও চট্রগ্রাম শহরের পরিবহনের অরাজকতার কথাতো লিখে ত শেষ করাই যাবে না। সুতরাং বাস মালিকগন আগে থেকে বিআরটিএ নিয়ম না মেনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতো।

এখন ৬০% বাড়ালে যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকার উপর আরও অতিরিক্ত ভাড়া রাখা হবে যেটা করোনা কালীন সময়ে একটি অমানবিক সিদ্ধান্ত। এটাকে কেউ মরার উপর খাড়ার ঘা বলতে পারেন। বাস মালিকরা কাছে সরকারি কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীরা জিম্মি। তাই বর্তমানে বাস মালিকরা সরকারের চেয়েও বেশি প্রভাবশালী। এবার তারা অতিরিক্ত বাস ভাড়ার প্রজ্ঞাপন পেয়ে এবার কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে আগের মতো যাত্রী বহন করবে এটাই স্বাভাবিক। যার ফলে তাঁরা এবার শুরু থেকে উঠে পড়ে লেগেছিল ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য।

আমার বুঝে আসে না যে মানুষ অতিরিক্ত ভাড়া কেন এবং কিভাবে দিবে? কোন যুক্তির ভিত্তিতে ভাড়া বাড়লো? বলা হচ্ছে যাত্রি অর্ধেক পরিবহন করবে। এটা কী বাংলাদেশের বাস্তবতায় সম্ভব? যদি হয়েই থাকে তাহলে এই অর্ধেক যাত্রি পরিবহন কার স্বার্থে? নিশ্চয়ই দেশের স্বার্থে । তাহলে যৌক্তিকভাবে তা করা যেত। এখানে ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন স্টাডি করা হয়েছে বলে মনে হয় না।

পরিবহন মালিকরা বলেছেন ভাড়া একশত শতাংশ বাড়াতে হবে। বিআরটিএ প্রথমে আশি তারপর ষাট শতাংশ অনুমোদন করিয়েছেন। যা কোনভাবেই যৌক্তিক নয়। এর মাধ্যমে গন পরিবহন ব্যবস্থায় যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে তার খেসারত জাতি অচিরেই দিবে। না হবে সামাজিক দুরুত্বের বাস্তবায়ন, না মানা হবে স্বাস্থ্যবিধি । এর মাধ্যমে জনগনের পকেটের টাকা গচ্চা যাবে আবার করোনার বিস্তৃতি ও ঠেকানো সম্ভব হবে না।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় আমাদের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্মহীন হয়ে বেকার ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় সরকার প্রধান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে অসহায় ও দুস্থ মানুষের করোনা কালীন বিপর্যয় রোধের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে যা সত্যিই আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে অত্যন্ত অনুকরণীয়। এমনকি বিশ্বে নেতৃত্বেও বিরল ঘটনা।

আশা করি, সরকার করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালাতে গিয়ে কম যাত্রী বহনের অযুহাতে যাত্রীদের কল্যানের কথা চিন্তা করে ৬০% বাস ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করবেন এবং পরিবহন মালিকদের খরচ সংকুলন না হলে তাদের প্রণোদনা দিবেন ও জ্বালানী তেলের দাম কমিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।


লেখকঃ পিএইচডি গবেষক, বিশ্লেষক ও ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ এবং সহকারী অধ্যাপক, ম্যানেজমেন্ট এন্ড ফাইন্যান্স বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *