অনি আতিকুর রহমান
বাসার আলমারিতে ছাত্রী নিয়ে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; এডমিশনের মত সেনসেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আউট করে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; ২০ লাখ টাকায় শিক্ষক নিয়োগ দিতে গিয়ে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; ভুয়া পিএইচডি করে ধরা খেলে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; বিভাগের টাকা তছরুপ করে ধরা পড়লেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না।
পোষ্য কোটায় সর্বনিম্ন মার্কস (কয়েক দফা) কমিয়ে অকৃতকার্য ছেলেমেয়েকে ভর্তি করিয়ে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; স্টেশনে না থেকেও বেতন-বোনাস তুলে ওই হারাম খেয়ে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না।
স্থানীয় পাতি নেতার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সুধিসমাজের ভৎসনার মুখে পড়লেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না; দিনের পর দিন ক্লাস না নিয়ে সাজেশন ক্লাসে কোর্স শেষ করার ধোঁকাবাজি ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; রেজাল্ট টেম্পারিং করে তল্পিবাহক পছন্দের ছাত্রকে কিংবা সুন্দরী ছাত্রীটিকে ফার্স্ট বানিয়ে ধরা খেলেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না।
আরও পড়ুন
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশা
ক্যাম্পাসের জমিতে সবজি চাষ করা নিয়ে মারামারি করে পত্রিকার শিরোনাম হলে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; সহকর্মীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিবেশ তৈরি করে দেশজুড়ে সমালোচিত হলে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; শিক্ষক ক্লাবে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে মাথা ফাটিয়ে মেডিকেলে পাঠানোর খবর চাউর হলেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না; ছাত্রীর সাথে ‘ফোন সেক্স’ করে ভাইরাল হলেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না।
আর তখন কোনো তথাকথিত প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন ‘জাত গেল জাত গেল’ বলে বিবৃতিও দেয় না। মাস্টারদের স্বার্থ ও ইজ্জতের হেফাজতকারী পরাক্রমশালী সুবিশাল শিক্ষক সমিতিও কোনো হৈচৈ করে না। মান যায় শুধু শিক্ষার্থীরা কোনো কুকর্মের প্রতিবাদ করলে; নায্য দাবি আদায়ে সোচ্চার হলে!! হায় হিপোক্রেসি!
এ ধরনের হিপোক্রেসি বন্ধ হয় না জন্যেই শিক্ষকদের আজ এই করুন পরিনতি আর তাদের উৎপাদনকৃত শিক্ষার্থীদেরও এই হাল। লজ্জা!