বিসিএস পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা – বিসিএস (BCS) পরীক্ষার যোগ্যতা কি কি?
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একজন প্রার্থীর ন্যূনতম যে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন তা আমরা এই সেকশন হতে জানবো-
বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে হলে একজন প্রার্থীকে ন্যূনতম ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। তবে যদি কোন প্রার্থী এইচএসসি পাশ করার পর ৩ বছর মেয়াদী ডিগ্রী বা সমমানের কোর্স করে থাকেন, তবে তাকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (মাস্টার্স) পাস করতে হবে। এরপরেই তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য হবেন।
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে, এসএসসি, এইচএসসি এবং অনার্স/সমমান পরীক্ষায় ১টির বেশি তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না। অর্থাৎ, এই তিনটি পরীক্ষার মধ্যে যদি একজন প্রার্থী একাধিকবার তৃতীয় শ্রেণি/ডিভিশন পেয়ে থাকেন, তবে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বর্তমানে আর শ্রেণি/ডিভিশন (Division) সিস্টেম নাই। জিপিএ (GPA) সিস্টেম চালু থাকায়, অনেক প্রার্থী শ্রেণি (প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণি) নির্ধারণে বিভ্রান্ত হন।
নিচের টেবিলগুলো দেখলে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন, জিপিএ অনুযায়ী আপনি কোন শ্রেণিতে আছেন, বিসিএস পরীক্ষা দিতে প্রয়োজনীয় যে পয়েন্ট লাগে তা আপনার আছে কিনা, এবং এর ভিত্তিতে যাচাই করে নিন বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা রয়েছে কিনা।
এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে-
১ম শ্রেণি: জিপিএ ৩.০০ বা তদূর্ধ
২য় শ্রেণি: জিপিএ ২.০০ – ২.৯৯ পর্যন্ত
৩য় শ্রেণি: জিপিএ ১.০০ – ১.৯৯ পর্যন্ত
অনার্স বা সমমানের পরীক্ষার ক্ষেত্রে-
১ম শ্রেণি: জিপিএ ৩.০০ বা তদূর্ধ
২য় শ্রেণি: জিপিএ ২.২৫ – ২.৯৯ পর্যন্ত
৩য় শ্রেণি: জিপিএ ১.৬৫ – ২.২৫ পর্যন্ত
বিসিএস পরীক্ষার জন্য শারীরিক যোগ্যতা
নতুন বাংলাদেশের বিসিএস পরীক্ষায় শুধু মেধা নয়, শারীরিকভাবে ফিট থাকাও জরুরি।
আপনি যখন প্রিলি ও রিটেন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, তখন আপনাকে মেডিকেল বোর্ডের সামনে উপস্থিত হতে হবে।
সেখানে বিসিএস পরীক্ষার জন্য আপনার শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষা করা হবে। আপনার উচ্চতা, ওজন, বক্ষের মাপ, দৃষ্টিশক্তি সবকিছু চেক করা হবে।
পুরুষ ও মহিলাদের জন্য শারীরিক যোগ্যতার মানদণ্ড ভিন্ন হতে পারে, বিশেষ করে পুলিশ বা আনসার ক্যাডারের ক্ষেত্রে।
আপনি যদি শারীরিক পরীক্ষায় সফল না হন, তবে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন থেমে যাবে।
তাই, আপনি যদি নতুন বাংলাদেশের বিসিএস ক্যাডার হতে চান, এখনই আপনার শারীরিক ফিটনেসের দিকে নজর দিন।