বৈষম্য

অমল দত্ত


হে তুই এক আকস্মিক ধরণী,
তোর মাঝে কত যে রূপের হাতছানি,
কেউ থাকে না রাজহালে,
আর কেউ থাকে তিমিরের মাঝে পড়ে,
চলে অর্থের মায়াজালে,
আর কেউ বাঁচে সততার বলে।

কেউ থাকে উঁচু সব দালানে,
আর কারো হয়নাকো জায়গা রাস্তার ধারে,
কেউ পরিধান করে নতুন সব বস্ত্র,
আর পায়নাকো কেউ গা ঢাকার একখানা বস্ত্র।

কেউ খায় হোটেল-রেস্তোরাঁয়,
আর কারো জোটেনাকো রাস্তায় ফেলে দেওয়া অন্ন।
কেউ রাস্তায় বেরোয় গাড়ি চড়ে লোক দেখানোর জন্য,
আর কারো পায়ে হেঁটে হয়না যে পথ সম্পন্ন।

আজ মানুষের মুখে তুলে দেয় অন্ন,
এমন কেউ আছে-
যায় দেখা অতি সামান্য!
আজ সকলেই হয়িয়াছে মহান,
শুধু খেটে খাওয়া মানুষের জন্য।

তবুও তাদের জন্য হয়নাকো দয়া-
এক মুহূর্তের জন্য!
তারা করেছেকো ত্যাগ স্বার্থকে,
দিয়েছেকো বলি নিজেরই মাঝে,
তবুও হয়নাকো মায়া,
হয়নাকো দয়া সাহায্যের জন্য।

তাদের আজ রয়েছেকো অভাব,
রয়েছেকো সকল-সমস্যার ভাব,
যেন এই ধরণীর বৈষম্যের জন্য।
পারিবেকি মানুষের ভেদাভেদ করিতে দূর,
পারিবেকি করিতে কালের একূল-ওকূল,
তবেই ধরণী হবে বৈষম্যের প্রতিকূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *