ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
চলতি বছরের এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষা দিতে চান না পরীক্ষার্থীরা। রবিবার প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর দেয়া এক স্মারকলিপিতে এমনটাই বলা হয়েছে।
স্মারকলিপিকে ‘১৪ লাখ শিক্ষার্থীর পক্ষে’লেখা দাবি করে সেখানে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থী ও এই মহামারীর গতিবিধির সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা না পিছিয়ে দ্রুততম সময়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবিষ্যত রক্ষা করতে ও জাতির সন্তানদের এই মৃত্যু ফাঁদে ঠেলে না দেয়ার অনুরোধ রইলো।
স্মারকলিপি প্রধানকারী ও ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজেরপরীক্ষার্থী অর্নব সাহা বলেন, মহামারি এই ভাইরাস কতদিন থাকবে, কবে ভ্যাকসিন আসবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, পরীক্ষা না দিয়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিতে।
ওই স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, “মহামারীর এই সময়ে বহু শিক্ষার্থী ভয়াবহ আর্থিক, পারিবারিক, ও একাডেমিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বহু শিক্ষার্থীকে গ্রামে চলে যেতে হয়েছে, আর বহু শিক্ষার্থী অভিভাবক হারিয়েছে। তার উপর দীর্ঘকালীন বন্যায় বহু পরিবার নিঃস্ব হয়েছে, পড়াশোনার প্রস্তুতির যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই স্বল্প সময়ের নোটিশে পুষিয়ে নেয়া সম্ভব না। এর মধ্যে পুনরায় তাদেরকে মহাগুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষায় বসানের পরিকল্পনা বহু মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভেঙ্গে দেবে। ১৪ লক্ষ শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার ভবিষ্যত ও তাদের মানসিক, শারীরিক স্বাস্থ্যকে অকল্পনীয় ঝুঁকিতে ফেলবে।”
“এমতাবস্থায়, সমস্ত পরীক্ষার্থী ও এই মহামারীর গতিবিধির সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা আর না পিছিয়ে দ্রুততম সময়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবিষ্যত রক্ষা করতে ও জাতির সন্তানদের এই মৃত্যুফাঁদে ঠেলে না দেয়ার অনুরোধ রইলো”—স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়।
এদিকে বোর্ড পরীক্ষার বিকল্প কী— জানতে চাইলে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা দুটি বিকল্প প্রস্তাবের কথা জানান। প্রথমত-জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির গ্রেড প্রদান। দ্বিতীয়ত-অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া। তবে গ্রেড প্রদান করাটাই ‘বেটার অপশন’ বলে মনে করছেন তারা।