ভালোবাসা দিবসে বৃদ্ধাশ্রমে মায়েদের নিয়ে ইবি শিক্ষার্থীদের অন্যরকম ভালোবাসা

ইমানুল সোহান, ইবি প্রতিনিধি


বিশ্ব ভালোবাসা দিবস অন্য রকমভাবে পালন করল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক কিছু শিক্ষার্থীরা। তারা ভালোবাসা ভাগাভাগি করে নিল বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের সঙ্গে। আজ শুক্রবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে কুষ্টিয়ার উদয়ন বৃদ্ধাশ্রমের ২৬ জন মায়েদের নিয়ে এ আয়োজন করে তারা।

ওই আয়োজনে বক্তারা বলেন, ‘প্রতিবছর ভালোবাসা দিবসে সবাই নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে দিনটি উদ্যাপন করেন। তবে এসব মায়েরা সেই ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত থাকেন। সেই মায়েদের মাঝে খাবার বিতরণ, বস্ত্র ও সময় দিয়ে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগটি অসাধারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমনি হওয়া প্রয়োজন বলেও জানান বক্তারা।’

আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থী বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খায় ও তাদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন। এছাড়া সারাদিনে তাদের সাথে খেলাধুলা, গান ও গল্প করেন। এসময় বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের মুখে আনন্দের কান্না দেখা যায়। নিজেদের সন্তানতুল্য ভেবে অনেক শিক্ষার্থীকে তারা জড়িয়ে ধরেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সোনালী আক্তার বলেন, ‘গতানুগতিক ভালোবাসার বাহিরে এসে অসহায় মায়েদের নিয়ে সময় কাটানোর ইচ্ছেটা অনেক দিনের। সেই ইচ্ছেটার পূরণ হলো বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে। এই অসহায় মায়েদের মুখের দিকে তাকালে আমার মায়ের মুখচ্ছবি আমি দেখতে পাই। শিক্ষক, সাবেক বড় ভাইদের সহযোগিতায় মায়েদের সাথে দিনটি ভালই কাটলো।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: রশিদুজ্জামান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী লেখক ও গবেষক ডা. সারিয়া সুলতানা ও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার রিপন উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি করতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাহানারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহম্মদ শরীফ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: রশিদুজ্জামান বলেন, ‘ আমরা বৃদ্ধাশ্রম চাই না, আমাদের প্রতিটি গৃহ গৃহাশ্রম হয়ে উঠুক। সমাজের বিত্তবানরা একটু সহযোগিতার হাত বাড়ালে এসব মায়েদের কষ্ট কিছুটা লাগব হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ যা করলো তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *