মমতা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, রপ্তানি বন্ধ করলো বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা

ডেস্ক রিপোর্ট


মমতা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরুপ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা পেট্রোপোল -বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পণ্য রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশিি ব্যবসায়ীরা।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেনাপোল সীমান্ত এখন ভারত সরকারের গলার কাঁটা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একটি সিদ্ধান্তের ফলে এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। মোদি সরকারের বারবার নির্দেশ সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের কোনও পণ্য ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা।

পরিণামে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা গত বুধবার থেকে পণ্য রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন। কোন ট্রাক যাচ্ছেনা বাংলাদেশ থেকে। অথচ ত্রিপুরার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে চালু আছে ভারত – বাংলাদেশ বাণিজ্য। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কেন্দ্রের নির্দেশ না মেনে দু’হাজার পাঁচ সালের প্রোটোকল চুক্তি ভাঙা হচ্ছে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংবিধানের দুশো তিপান্ন, দুশো ছাপ্পান্ন এবং দুশো সাতান্ন ধারার পরিপন্থী কাজ করছে। উল্লেখযোগ্য ত্রিপুরা সীমান্ত খোলা থাকলেও ভারত – বাংলাদেশ বাণিজ্যের সত্তর শতাংশ হয় এই পেট্রাপোল – বেনাপোল দিয়ে।

বাধ্য হয়ে ভারত সরকার শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল যোগাযোগ ও কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে দিয়ে পণ্য পরিবহন শুরু করার। লকডাউন শুরুর দুদিন আগে তেইশ মার্চ থেকে করোনার কারণে পেট্রাপোল বেনাপোলে ট্রাক আসা বন্ধ হয়। ঊনত্রিশ এপ্রিল বাণিজ্য আবার শুরু হয়। দুই মে স্থানীয় কিছু গন্ডগোলের জেরে ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়। সাত জুন আবার পণ্য পরিবহন শুরু হয়, কিন্তু তা একতরফা ভাবে। কেবলমাত্র ভারতীয় ট্রাকগুলোকেই যেতে দেয়া হচ্ছিল। বাংলাদেশ থেকে ট্রাক ভারতে আসতে দেওয়া হচ্ছিল না।

প্রতিবাদে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীর ভারত থেকে পণ্য আসা বন্ধ করে দেন। পেট্রাপোল বেনাপোল সীমান্তের ফলে নাভিশ্বাস উঠেছে। দু’হাজার ঊনিশের এপ্রিল – মে তে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে দুশো কোটি ডলার এর বাণিজ্য হলেও এই বছর এই দুমাসের বাণিজ্য হয়েছে বিয়াল্লিশ কোটি চল্লিশ লক্ষ ডলার এর। ভারত এই ব্যবসা হারাতে চায়না বলেই বন্দর ও রেল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *