মায়ের কবরের পাশেই চিরতরে শায়িত হলেন জর্জ ফ্লয়েড

আন্তর্জাতিক টুডে:জর্জ ফ্লয়েড, মৃত্যুর পরও বিশ্বজুড়ে এখন তিনি বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক।যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার ১৫ দিন পর তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে ।হিউস্টনের ফাউন্টেন অব প্রেজ গির্জায় অশ্রু জলে সিক্ত হয়ে ফ্লয়েডকে শেষ বিদায় জানান তার পরিবারের সদস্যরা।

যে শহরে বেড়ে ওঠা সেই হিউস্টনের মেমোরিয়াল গার্ডেনে মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন জর্জ ফ্লয়েড। এসময় ফ্লয়েড এর স্মরণে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড নিরবতা পালন করা হয়।

শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া পরিবারের সদস্যরা বলেন, ফ্লয়েড হত্যা শুধু ট্রাজেডি নয়, অপরাধ। বর্ণবৈষম্যে আর পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তারা।

ফ্লয়েডের ভাই বলেন, ‘চোখ বন্ধ করলেও আমি এখন শুনি, আই কান্ট ব্রিথ। আতঙ্কে এখন টাইও পরিনা। এমন মৃত্যু যেনো আর কারো না হয়। ফ্লয়েডের মৃত্যু বদলে দিক বিশ্বকে। ফ্লয়েড মারা যাননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে । এটি একটি জঘন্য ক্রাইম যা যুগে যুগে হয়ে আসছে কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে।’

শুধু হিউস্টন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের শহরে শহরে ফ্লয়েডের প্রতি শ্রদ্ধা জানান হাজারো মানুষ। ইতালি এবং ফ্রান্সেও ফ্লয়েডকে স্মরণ করে নিরবতা পালিত হয়েছে।

তবে জর্জ ফ্লয়েড এর শেষকৃত্যের পরও থেমে নেই কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা আর বর্নবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ হয়েছে হয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, সুইজার‍ল্যান্ডসহ দেশে দেশে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, বিশ্বজুড়ে বর্ণবৈষম্য বন্ধের এখনই সময়।

ফ্লয়েডের মৃত্যু এরই মধ্যে বদলে দিয়েছে অনেক কিছুই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অপরাধ গোপন রাখার আইনও বাতিল হতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এই আইন বাতিলের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন নিউইয়র্কের আইনপ্রণেতারা।

তার মৃত্যুতে তৈরি হওয়া নাগরিক অধিকার আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে নিউইয়র্কের পাঁচ সড়কের নাম পরিবর্তন করে ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটার ওয়ে’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *