নাঈম উদ্দিম
ম্যাথ আর ফিজিক্স দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে। তাদের প্রেম কাহিনী সবার মুখে মুখে, লাইব্রেরীর চিপায়, স্কুল কলেজের বোরিং লেকচারে! তাদের ভালোবাসা তুমি না খাইলে আমিও খাবোনা টাইপ!
একদিন ফিজিক্স বললো,বাবু খাইছো?
ম্যাথ বললো,হুম বাবু এইমাত্র খেলাম অন্বয় আর ফাংশনের ভর্তা দিয়ে। তুমি খাইছো বাবু?
–হুম আমিও খাইছি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের চাটনি দিয়ে।
এদিকে ইদানিং ম্যাথের সাথে আবার ইকোনমিকসেরও একটা সর্ম্পক তৈরী হয়েছে। তাদের প্রেমের পরিসংখ্যান বহুপদী সমীকরণকেও হার মানাবে।
হঠাৎ একদিন কেমেস্ট্রি উভমুখী বিক্রিয়ার মতো এসে ফিজিক্সকে ম্যাথ আর ইকোনমিকসের অবৈধ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দিল।
ফিজিক্স এদিকে রাগে ক্ষোভে ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কাটতে বসলো।ঠিক ওই সময় ম্যাথ এসে বললো, বিশ্বাস করো বাবু আমার আর ইকোনমিকসের মধ্যে তেমন কিছু হয়নি শুধু একবার কক্সবাজার গিয়েছিলাম গোসল করতে। বিশ্বাস করো তোমাকে আমি পরাবৃত্ত, উপবৃত্ত, অধিবৃত্তের মতো ভালোবাসি।পরে ফিজিক্স বুঝতে পারলো।
তারপর ফিজিক্স ম্যাথের বাবা মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেল। ম্যাথের বাবা ছিল Zooলজি আর মা ছিল বোটানি।
Zooলজি বললো, কি! এতবড় সাহস! আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাও? কি আছে তোমার?
ফিজিক্স বললো, আমার কাছে বুক ভরা ভালোবাসা আছে। আপনার মেয়েকে ছাড়া আমি অচল। আমাদের প্রেমের ভরবেগ এতটাই জটিল যে কেউ থাকে সহজে পেতে পারেনা। আমাদের কৌণিক দূরত্ব, স্থানাংক, কাল সবি একে অপরের সাথে যুক্ত। আমি আপনার মেয়েকে ক্যালকুলাসের মতো ভালোবাসি।
Zooলজি বললো, না আমি এই বিয়ে মেনে নিবো না।
ম্যাথ তার মাকে বললো, মা তুমি কিছু বলো।
বোটানি বললো, তোর বাবা ঠিক বলছে ম্যাথ। তোর বিয়ে আমরা পলিটিক্যাল সাইন্সের সাথে ঠিক করেছি। সে বসে বসে অনেক টাকা ইনকাম করে। তোর তাকেই বিয়ে করতে হবে।
তারপর দিন ম্যাথ ফিজিক্সের সাথে পালিয়ে গেল। এরপর থেকে কেউ তাদের ধরতে পারেনি। তবে এখনো ম্যাথের সাথে ইকোনমিকস আর কেমিস্ট্রির মাঝেমধ্যে কথা হয়। জাস্টফ্রেন্ড এর বেশিকিছু না।
লেখা: মো. নাঈম উদ্দিন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, চট্টগ্রাম।