যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যবিপ্রবি

যবিপ্রবির অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে অ্যালামনাইগন

ওয়াশিম আকরাম, যবিপ্রবি প্রতিনিধি


যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অ্যালামনাইগন আর্থিক ভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে দুর্ভোগে পড়া ৩০ শিক্ষার্থীর পরিবারকে প্রথম ধাপে এই আর্থিক সাহায্য পাঠানো হয়েছে।

অন্য সব কিছুর মত বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী টিউশনি করে নিজের খরচ নির্বাহ করতেন , চালাতেন নিজের পরিবার ও।বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে তাদের এই উপার্জনের মাধ্যম।এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য ফান্ড গঠন করতে উদ্যোগ নেন যবিপ্রবির অ্যালামনাইগন ।

অ্যালামনাইগনের আর্থিক অনুদানে গঠিত এ তহবিল থেকে দুর্ভোগে পড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে প্রথম ধাপে ১০০০ টাকা করে সহায়তা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অ্যালামনাই শিক্ষার্থীদের পক্ষে সঞ্জয় ব্যানার্জী বাপ্পা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাড়ান।

একই সাথে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে যবিপ্রবিকে করোনা পরীক্ষা করে দেশের পাশে এসে দাড়াতে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এলমনাইগনকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের স্বার্থে কাজ করার অনুপ্রেরনা প্রদান করায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন স্যার কে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং এই ফান্ডের সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে নিয়োজিত ও আর্থিক সহায়তাকরী হিসাবে অ্যালামনাই শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন ,শেখ সাব্বির হোসাইন, মেহেদী হাসান, রাতুল দাস, দেবাশীষ মৃধা, নাজমূল হুদা সহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী দেবাশিস মৃধা বলেন-“আমরা এক ভয়াবহ অদৃশ্য যুদ্ধের মধ্যে আছি। যেহেতু আমি একজন মাইক্রোবায়োলজিষ্ট তাই এর ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা করতে পারি। আমরা সচেতন নই, এটাই আমাদের প্রধান সমস্যা। এই দুরাবস্থায় আমরা এই ক্ষুদ্র সহায়তা প্রদানে সামর্থ্য হই। আমাদের সাবেক বড় ভাইয়েরা বরাবরই আমাদের এই জনসেবা মূলক কাজে সাহায্য করে আসছেন। দল মত নির্বিশেষে এই আর্থিক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

এ বিষয়ে অ্যালামনাই রাতুল দাস বলেন, মানুষ হিসাবে আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে।অনেকেই টিউশনি করে চলত, অনেকের পরিবারের অবস্থা খারাপ, এই দুর্যোগের সময় আমরা যদি তাদের পাশে না দাড়ায় তাহলে মানুষ হিসাবে আমাদের দায়িত্ব অসম্পূর্ণ থেকে যায়।আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

যতদিন পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততদিন এ সাহায্য অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *