বিশ্ববিদ্যালয়: ইহা একটি বিশেষ জায়গা, যেখানে এইচ.এস.সি তে ভাল ফলাফল করার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়।
হল: সারারাত জেগে সকাল ৬ টায় ঘুমানোর জন্য পারফেক্ট জায়গা। তাতে কিন্তু শান্তি নাই, সকাল ৮ টার আগে ঠিকই চোখের পাতা উপরে উঠে যাবে।
লেডিস হল: ছেলেদের জন্য ক্যাম্পাসের একমাত্র নিষিদ্ধ জায়গা।
ডাইনিং: পুষ্টিকর আর স্বাস্থ্যকর হালকা হলুদ গরম পানির ডাল পাওয়ার একমাত্র জায়গা। VACCINE এড় চেয়ে বেশি IMMUNITY এখানে GROW করে।
ক্লাশরুম: ফেসবুক চালানোর আদর্শ যায়গা।
লাইব্রেরী: কপোত-কপোতীর জন্য আদর্শ জায়গা। কপোতী পড়া বুঝায় আর কপোত ঘুমন্ত অবস্থায় মুগ্ধ হয়ে শুনে।
অ্যাটেনডেন্স আর প্রক্সি: স্যার দয়াময় হলেও চলে না, বন্ধুদের দয়া ছাড়া ৭৫% ক্লাশ উপস্থিতিও জুটেনা। এখানে স্যারের চেয়ে বন্ধুদের দয়ার উপর নির্ভর করে করতে হয় বেশি।
এসাইন্টমেন্ট: একজনেরটা দেখে অন্যজনের কপি-পেষ্ট করা, বেশিহলে সাথে কিছু যোগ বিয়োগও থাকে।
লেকচার: লেকচার মানেই ঘুমের মহাঔষুধ, সময়ের অপচয়, বাধ্যতামূলক ক্লাশে শারীরিক উপস্থিতি।
প্রফেসর: যিনি ক্লাশ নিলে ঘুম আসে। প্রাচীণ যুগের ঐতিহাসিক নোট নিয়ে ব্যাচের পর ব্যাচ পার করেন, জুনিয়র টিচারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হস্তক্ষেপ করে স্টুডেন্টদের বাঁশ দেন।
ভাইভা: স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলার উপযুক্ত সময়। যার জন্য একজন স্টুডেন্টকে ২ জায়গায় ২বার প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।একবার স্যারের সামনে আর আরেকবার সহপাঠী বন্ধুদের সামনে- “দোস্ত তোরে কি জিগাইছে? এর উত্তর কোনটা?”
পরীক্ষা: মাথা চুলকানোর বিশেষ জায়গা। যেখানে প্রত্যেক স্টুডেন্ট মাথা চুলকায়ে নতুন নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করে। যা পরীক্ষকের বোধগম্যের বাইরে। কারণ তিনি এই বিষয়ে কোন ডিগ্রী নেন নাই। ১ম এক ঘন্টা ভাবা হয় প্রশ্ন কোন গ্রহ থেকে দিয়েছে। এক ঘণ্টা পর মাথা চুলকায়া গ্রহের সন্ধান পাইলে লেখা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষের ৩০ মিনিট আগে হাতের লেখার স্পিড কেমন করে যেন বেড়ে যায়।
টিউশনি: যা কিছু স্টুডেন্টদের একমাত্র বাঁচার উপায় ।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত