রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ শিক্ষক পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ

 

রাবি প্রতিনিধি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি খাত থেকে বিশেষ গবেষণায় অনুদানের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের মোট ৪৮ জন শিক্ষক মনোনিত হয়েছেন।
জানা যায়, ২৪ টি গবেষণা প্রকল্পে সর্বমোট ৫৮ লাখ টাকা অনুদান পাবেন তারা। এ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়টির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি খাত হতে এ বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান করা হবে।

গত মঙ্গলবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবাসাইটে প্রকাশিত ফেলোশিপ ও অনুদান অংশের বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। ৫৭৯টি গবেষণা প্রকল্পের অনুদানের জন্য নির্বাচিতদের তালিকাও বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
বায়োলোজিক্যাল সায়েন্স ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষরা হলেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম কামরুজ্জামান, ড. সৈয়দ সরওয়ার জাহান, ড. মো. জালাল উদ্দীন সরদার, ড. মোইজুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশিদা খাতুন, ড. মো. রায়হান গফুর, সহকারী অধ্যাপক মোসা. ইশরাত জেরীন মনি ও ড. আফিয়া খাতুন।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ড. মো. রেজাউল করিম, ড. মো. বেলাল উদ্দীন, সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তফা আবুল কালাম আজাদ, সহযোগী অধ্যাপক আহমদ হুমায়ুন কবির। ফিশারীজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ড. সৈয়দা নুসরাত জাহান। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক অনিল চন্দ্র দেব, এসএম শাহিনুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক অমিত কুমার দত্ত, শামামা বেগম ছবি।
ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ক্যাটাগরিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ড. আবু সালেহ, সহযোগী অধ্যাপক সালাহ উদ্দীন।
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স ক্যাটাগরিতে এগ্রোনোমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৌফিক ইকবাল, ড. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী অধ্যাপক লতিফুল বারী, মজিবুর রহমান। ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইব্রাহীম হোসেন মন্ডল, ড. আহসান হাবীব।
ইন্টার ডিসিপ্লিনারি ক্যাটাগরিতে ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলবার হোসেন, ড. শাহ মো. আবদুর রউফ। এগ্রোনোমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীউল আলম, ড. মোস্তাফিজুর রহমান। ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম আল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. আল মামুন। ফিসারীজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়ামিন হোসাইন, ড. সালেহা জেসমিন। পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুল হক মোল্লা, সহযোগী অধ্যাপক হাদিউল কবীর।
মেডিকেল সায়েন্স ক্যাটাগরিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আবু রেজা, জিন্নাত ফেরদৌসী, ড. কাজী মোহা. ফইসাল হক, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার মো. খালিদ-বিন-ফেরদৌস। ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মিলি জেসমিন, সহযোগী অধ্যাপক রনক জাহান।
ফিজিক্যাল সায়েন্স ক্যাটাগরিতে রসায়ন বিভাগের ড. মাহবুবুর রহমান, ড. শহিদুল ইসলাম, ড. তরিকুল হাসান, ড. রওশন আলী।
এ ধরণের ফেলোসিপ গবেষণায় কতটুকু সহায়তা করবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। বর্তমানে দেশ নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকদের গবেষণায় যে বরাদ্দ দিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। শুধু বরাদ্দ দিয়েই হবে না, আমাদের শিক্ষকদের আন্তরিকতার সাথে গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে। গবেষণায় অর্থের চেয়ে আগ্রহের প্রয়োজন বেশি।

প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক প্রকল্পের গবেষণার জন্য ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থবছর থেকে বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। বায়োলোজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার ডিসিপ্লিনারি ক্যাটাগরিতে ৫৭৯টি গবেষণা প্রকল্পের অনুদানের জন্য ১ হাজার ১৫৮ জন শিক্ষক মনোনীত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *