রূপচাঁদা ভেবে রাক্ষুসে পিরানহো কিনছে স্থানীয়রা

ডেস্ক রিপোর্ট


মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে হরেক রকমের মাছের সঙ্গেই অবাধে বিক্রি হচ্ছে রাক্ষুসে পিরানহা।স্থানীয়রা অধিকাংশ সময়ই রূপচাঁদা মাছ ভেবে পিরানহা ক্রয় করেন।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার হোসেন্দী, মেঘনা পুরাতন ঘাট, চরচাষী, বাউশিয়া দাসকান্দি বাজারসহ একাধিক স্থানে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাক্ষুসে পিরানহা মাছ বিক্রি হচ্ছে।

পিরানহোর প্রকৃতি এরা হাঙ্গরের দাঁতের ন্যায় ধারালো দাঁত আছে। এরা হাঙ্গরের মতই দ্রুত কামড়িয়ে খেতে পারে এমন কি মানুষকে আক্রমণ করতে সক্ষম। পিরানহা সর্বভুক হলেও জীবিত প্রাণীই তাদের অধিক প্রিয়। পরিবেশে প্রাকৃতিক খাবার স্বল্পতার সময় অথবা ক্ষুধার্ত অবস্থায় এরা নাগালের মধ্যে পেলে মানুষসহ যেকোনো প্রাণীকে খাবারের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে থাকে।

শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক খাদ্যের ঘাটতির সময় এ আচরণ আরও বিপদজনক হয়ে দেখা দেয়। প্রাণিজাত খাবারসহ এর কাছাকাছি গেলে এটি গমনকারী মানুষের চেয়ে তার দেয়া খাদ্যর প্রতি অধিক আকর্ষণবোধ প্রকাশ করে।

পিরানহার ঘ্রাণ শক্তি প্রবল, এটি দূর হতেই রক্তের উপস্থিতি টের পেলে সেদিকে ধাবিত হতে পারে এবং তুলনামূলক অনেক বড় আকারের প্রাণীকেও এরা আক্রমণ করে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারে। স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে রক্তাক্ত অবস্থার ব্যক্তিকে ঘ্রাণের সাহায্যে এরা অনেক দ্রুত শনাক্ত ও আক্রমণ করতে পারে। তাই তাদের পিরানহার নিকটবর্তী হওয়া অনেক বেশী ভয়ঙ্কর। মনে রাখা প্রয়োজন, একটি ক্ষুধার্ত পিরানহা হাঙ্গরের ন্যায় সবকিছু কামড়ে খেতে চায়-এমনকি তার নিজ স্বজনদেরও।

আরও কিছু মজার তথ্য হলো পিরানহা জেট প্লেনের মত দ্রুতগামী।বড় বড় উত্তাল, গভীর ও স্রোতস্বিনী নদীতেও বসবাস করতে পারে।ক্যাঙ্গারুর মত পানির উপর লাফিয়ে উঠতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *