রূপমূলতত্ত্ব কি

রূপমূলতত্ত্ব কি? রূপমূলতত্ত্ব হল ভাষাবিজ্ঞানের একটি শাখা যা শব্দের গঠন এবং অর্থের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। বাংলা রূপমূলতত্ত্বে, বাংলা ভাষার শব্দগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়:

মূল শব্দ: মূল শব্দগুলিকে আরও ছোট শব্দে বিভক্ত করা যায় না। যেমন: “পড়া”, “লেখ”, “ভালো”
সমাস শব্দ: সমাস শব্দগুলি দুটি বা ততোধিক শব্দের সংযোগে গঠিত হয়। যেমন: “পড়াশোনা”, “লেখাপড়া”, “ভালোবাসা”
উপসর্গ শব্দ: উপসর্গ শব্দগুলি মূল শব্দের আগে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করে। যেমন: “অতি + বৃষ্টি = অতিবৃষ্টি”, “উপ + প্রচার = উপপ্রচার”

মূল শব্দ

মূল শব্দগুলি বাংলা ভাষার সবচেয়ে মৌলিক অংশ। এগুলিকে আরও ছোট শব্দে বিভক্ত করা যায় না। মূল শব্দগুলিকে তাদের অর্থের ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

নাম শব্দ: নাম শব্দগুলি কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, গুণ, অবস্থা ইত্যাদিকে নির্দেশ করে। যেমন: “ছাত্র”, “বই”, “ঘর”, “সুন্দর”, “হাস্য”
ক্রিয়া শব্দ: ক্রিয়া শব্দগুলি কোনো কাজ, অবস্থা বা ঘটনাকে বোঝায়। যেমন: “পড়া”, “লেখ”, “আসা”, “যাওয়া”, “হওয়া”
বিশেষণ শব্দ: বিশেষণ শব্দগুলি কোনো নাম শব্দের গুণ, অবস্থা বা পরিমাণকে বোঝায়। যেমন: “বড়”, “ছোট”, “সুন্দর”, “ভাল”, “খারাপ”
সর্বনাম শব্দ: সর্বনাম শব্দগুলি কোনো নাম শব্দের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। যেমন: “আমি”, “তুমি”, “সে”, “এটা”, “ওটা”
অব্যয় শব্দ: অব্যয় শব্দগুলি কোনো নাম, বিশেষণ বা ক্রিয়া শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বাক্যের অর্থকে পরিবর্তন করে। যেমন: “এটা”, “সেটা”, “তাই”, “না”, “হ্যাঁ”

সমাস শব্দ

সমাস শব্দগুলি দুটি বা ততোধিক শব্দের সংযোগে গঠিত হয়। সমাস শব্দগুলিকে তাদের অর্থের ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

দ্বন্দ্ব সমাস: দ্বন্দ্ব সমাস হল দুটি সমপর্যায়ের শব্দের সংযোগে গঠিত সমাস। যেমন: “পড়া + শোনা = পড়াশোনা”, “লেখ + পড়া = লেখালেখি”
কর্মধারয় সমাস: কর্মধারয় সমাস হল একটি শব্দের দ্বারা অন্য একটি শব্দের কর্মের সম্পর্ক প্রকাশ করে গঠিত সমাস। যেমন: “পড়া + যায় = পড়াশোনা”, “লেখ + যায় = লেখালেখি”
অব্যয়ীভাব সমাস: অব্যয়ীভাব সমাস হল একটি শব্দের দ্বারা অন্য একটি শব্দের অবস্থা বা গুণের সম্পর্ক প্রকাশ করে গঠিত সমাস। যেমন: “অতি + বৃষ্টি = অতিবৃষ্টি”, “উপ + প্রচার = উপপ্রচার”
উপসর্গ শব্দ

উপসর্গ শব্দগুলি মূল শব্দের আগে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করে। উপসর্গ শব্দগুলিকে তাদের অর্থের ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

অব্যয়ীভাব উপসর্গ: অব্যয়ীভাব উপসর্গগুলি মূল শব্দের অবস্থা বা গুণের সম্পর্ক প্রকাশ করে। যেমন: “অতি + বৃষ্টি = অতিবৃষ্টি”, “উপ + প্রচার = উপপ্রচার”
কারক উপসর্গ: কারক উপসর্গগুলি মূল শব্দের সাথে একটি নির্দিষ্ট কারকের সম্পর্ক প্রকাশ করে। যেমন: “অভি + লেখক = অভিলেখক”, “উপ + লেখক = উপলেখক”
অনুকারী উপসর্গ: অনুকারী উপসর্গগুলি মূল শব্দের সাথে একটি অনুকার প্রকাশ করে। যেমন: “অনু + বল = অনুবল”, “উপ + বল = উপবল”

বাংলা রূপমূলতত্ত্ব একটি জটিল বিষয়। 

Scroll to Top