লকডাউনের মধ্যে ভোগান্তি বাড়লো গবি শিক্ষাদাতাদের

লকডাউনের মধ্যে ভোগান্তি বাড়লো গবি শিক্ষাদাতাদের

সুপর্না রহমান

গবি প্রতিনিধি

 

বর্তমানে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে কয়েক দফায় সারাদেশে লকডাউন চলছে। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষকদের অফিস করার আদেশ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
অভিযোগ অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে তিনদিন ক্যাম্পাসে এসে অফিস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষক জানান, আমরা তো বাসায় নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছি। ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। এর মাঝে সাপ্তাহিক ছুটি, শবে কদরের ছুটি রয়েছে। করোনার বিধি-নিষেধের মাঝে মাত্র তিনদিনের জন্য অফিস করা কষ্টকর।
সরকারী নির্দেশনা অনুসরণ করে গবি কর্তৃপক্ষ শুরুতেই শিক্ষকদের বাসায় থেকে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনার নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী ক্লাস চলমান রয়েছে।
সর্বশেষ, লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এতে বলা হয়, জরুরী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সকল সরকারি-বেসরকারী অফিস যথারীতি বন্ধ থাকবে। সরকারী এ নির্দেশনার পরও শিক্ষকদের কেন ক্যাম্পাসে আসতে হবে, প্রশ্ন অনেকের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ডা: লায়লা পারভীন বানু বলেন, ‘সরকার বা ইউজিসি কি বলছে আমরা জানি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আগে কিছু কাজ থাকে। আমাদের এডমিনিস্ট্রেশনের কিছু কাজ আছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া, নতুন ছাত্র ভর্তি করানো। সরকার তো ভর্তি বন্ধ রাখেনি। কনস্ট্রাকশনের কাজ আছে আমাদের।’
জরুরী কাজের জন্য শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে এসে অফিস করার বিষয়ে ইউজিসির কোনো নির্দেশনা আছে কি না জানতে চাইলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মো. ওমর ফারুখ জানান, ‘না, সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে সেটাই বহাল থাকবে। এর বাইরে আমাদের কোনো নির্দেশনা নাই।’
এদিকে কয়েক দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা এবং আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে আর অফিস করতে হবেনা অনুমান করে অনেক শিক্ষক ইতোমধ্যে তাদের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান চলে গেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু প্রশাসনের এ ঘোষণায় পরিবহন সীমাবদ্ধতায় পুনরায় ঢাকা ফেরার ব্যাপারে ভোগান্তিতে আছেন বলে জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *