শিক্ষকদের কান্না, নীরব মানবতা

শিক্ষকদের কান্না মানবতা

এম ইকবাল বাহার চৌধুরী


কিন্ডারগার্টেন স্কুল তথা ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক, অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক/ শিক্ষিকাবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আপনারা জানেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশের একটি সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয় সংগঠন।

এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে কিন্ডারগার্টেন তথা ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে যার ধারাবাহিকতায় করোনা মহামারী শুরু হওয়ার সাথে সাথে বর্তমান পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আমিই এম ইকবাল বাহার চৌধুরী সর্বপ্রথম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আর্থিক সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করেছিলাম।

এরপর আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অর্থ, সময়, শ্রম, মেধা ব্যয় করে এমন কোন কর্মসূচি বা পদক্ষেপ নেই যা আমরা করি নি। এত কিছুর পরও এই পর্যন্ত সরকারের টনক নড়ে নি বা আমাদের জন্য কোন প্রকার সহায়তা করেন নি।

দেখুন আজ সব কিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে, শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে, কওমি মাদ্রসা খুলে দেয়া হয়েছে, ইংরেজি মাধ্যমের “ও” লেভেল, “এ” লেভেল পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছে কিন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের শিক্ষক সমাজকে বেকার করার যড়যন্ত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠান গুলো ধবংস করে দেয়ার জন্য সর্বোপরি এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য, আমাদের শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

যার ফলে আমরা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছি, অথচ ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বসাই বসাই খাওয়ানো হচ্ছে। তাই এই মুহুর্তে আর কোন সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধন, অনশন বা কোন কর্মসূচি নয়, এইসব করা মানে জাতিকে বুঝ দেয়া, আই ওয়াশ, শিক্ষকদের শান্তনা দিয়ে নিজেদেরকে জাহির করা ও পদের পরিচয় ঘটানো এবং শিক্ষক সমাজ ও জাতিকে ধোঁকা দেয়া। এইসব অনেক করলাম, কোন লাভ হয় নি।

এইগুলো করে শিক্ষক সমাজের তথা আমাদের প্রতিষ্ঠান গুলোর ভবিষ্যতেও কোন লাভ হবে না। তাই বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনের আশ্রয় নেওয়ার। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রখ্যাত কয়েকজন আইনজীবীর সাথেও আমি কথা বলেছি।

যদি ১ নভেম্বর আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া না হয় তাহলে আমাকে যতই ভয় ভীতি দেখানো হোক না কেন, যতই বাধা আসুক না কেন, বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টেন তথা ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার জন্য, আমাদেরকে আর্থিক সহায়তা এবং সহজ শর্তে ব্যাংক লোন প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও ১০ লক্ষ শিক্ষকদের পক্ষে কিন্ডারগার্টেন তথা ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর সম্মানিত নেতৃবৃন্দদেরকে সাথে নিয়ে আমি বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট করবো ইনশাআল্লাহ।

এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত প্রত্যাশা করছি। সংশ্লিষ্ট সকলেই প্রযোজনীয় মতামত ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করুন।

লেখাঃ এম ইকবাল বাহার চৌধুরী
চেয়ারম্যান,
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment