ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ ১৪ মাস হল ক্যাম্পাস বন্ধ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল সহ সারাদেশে এক যোগে প্রায় ৪১ টি স্থানে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। শুধু শিক্ষার্থীরা নয় তাদের সাথে অনেক শিক্ষক সমাজ, অভিভাবকসহ অনেকে একাত্মতা পোষণ করেছেন।
‘অবিলম্বে সকল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে’ ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে জানা যায়, সারাদেশে একযোগে ৪১ টি স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন পালিত হয়েছে।
এই সময় বক্তারা বলেন,আগামী ১ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না হলে সড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, কীভাবে খুলবে সে দায়িত্ব সরকারের।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের দেশের মতো এভাবে টানা কোথাও ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ নেই। আমাদের বন্ধুপ্রতিম পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এতো আক্রান্তের পরেও তারা ক্যাম্পাস খোলা রেখেছে। আমি এটাকে লকডাউন বলবো না। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ডাউন করে দেয়া হচ্ছে। গ্রামের প্রাইমারী স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে। যেখানে অফিসার-কর্মচারী সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছে। তাহলে শিক্ষার্থীরা কেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে পারবে না। তাই আমি বলবো অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা প্রত্যাহার করেন। শুধু তাই নয় প্লাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সিনাম হল খোলা, শপিংমল খোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন’?
শুধু প্লাকার্ড হাতে নয় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ” শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি করোনার উত্স হয় তাহলে অফিস আদালত কলকারখানা কি করোনা থেকে মুক্ত? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে টালবাহানা না করে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানান তারা।
তারা আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা হতাশাগ্রস্থ , আর তারচেয়েও বেশি হতাশাগ্রস্থ আমাদের পরিবার। যেখানে পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের হাল ধরবো সেখানে বেকার হয়ে ঘুরতেছি। আমরা আর অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা নামক প্রহসন চাইনা, সরাসরি ক্লাসে উপস্থিত হতে চাই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন।”