শিক্ষার্থীদের ‘পতিতা’ বলা কর্মচারী খোরশেদের কুশপুত্তলিকা দাহ, স্থায়ী বহিষ্কার দাবি

বেরোবি প্রতিনিধি


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ‘হকার, পতিতা, কুলাঙ্গার, চাটুকার’ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে করোকালীন সময়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী খোরশেদ আলমের কুশ পুত্তলিকা দাহ করেছে শিক্ষার্থীরা।

এসময় কর্মচারী খোরশেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ও স্থায়ী বরখাস্তের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার(২৯ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে কুশ পুত্তলিকা দাহ করার কথা থাকলেও প্রশাসনের দেয়া বাঁধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কর্মসূচি পালন করা হয়।

এর আগে গত ২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ কর্মচারীর বরখাস্তের সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ না করার জেরে শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চারজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, চার সাংবাদিক ৩ কর্মচারী বরখাস্তের সংবাদটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠায়নি। তারা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন না। তারা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের পজিটিভ সংবাদ প্রকাশ করেন না। তাই সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সম্পাদকমন্ডলীর কাছে দাবি করেন।

ওই প্রেসবিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে সেদিন রাতে কর্মচারী খোরশেদ সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফেসবুকে ‘পতিতা, হকার, চাটুকার, কুলাঙ্গার’ উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেয়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের ঝাড়ু পেটা করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়ার হুমকিও দেন এই কর্মচারী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জাকির বলেন, একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে এভাবে শিক্ষার্থী আর সাংবাদিকদের মানহানীকর মন্তব্য করবে এটা মেনে নেয়া যায়না। এটা প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য চরম লজ্জা ও হতাশার। তাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। পাশাপাশি স্থায়ী বরখাস্তের দাবি করছি।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ কে এম মুশফিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। সাধারন শিক্ষার্থী হিসেবে খোরশেদ আলমের কুশপুত্তলিকা আগুন দিয়ে পুরিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত কর্মচারীকে স্থায়ী বরখাস্ত না করলে কঠোর আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *