ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে যেতে মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটে।গাদাগাদি করেই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। এ নৌরুটের লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ মে) সকাল থেকেই এই নৌরুট দিয়ে শত শত যাত্রী পারাপার হচ্ছেন। সাথে বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গগামী ছোট গাড়ির চাপও। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাতায়াত করছেন অধিকাংশ যাত্রী।
এদিকে রবিবার রাতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাত্র ৪টি ফেরি চলাচল করেছে। পরে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় দুপুর থেকে চালু হয় ১৩টি ফেরি। হাজার হাজার মানুষের কারণে জরুরী পরিসেবা ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীরা ভ্যান, মোটরসাইকেল করে ঢাকার উদ্দেশ্য কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে ভিড় জমাচ্ছেন।
যারা দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে আসছে তারাও পড়েছে মহাবিপাকে। বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে যাত্রীরা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, লেগুনা, মোটরসাইকেল ও উবারের অফলাইনের গাড়িতে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। আর শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ, সিবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পার হচ্ছে ফেরিতে।
এদিকে ছোট যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৩টি ফেরি চালু রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঘাটে যাত্রী চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে জেলা প্রশাসক।
বিআইডব্লিউটিসি কাঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার আ. আলীম বলেন, এরুটে ১৩টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। উভয় পাড়ে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক বলেন, মানুষ বিভিন্ন উপায় ফেরি ঘাটে এসে জমায়েত হয়। ফেরিতে যাত্রী পারাপার না করার জন্য ফেরি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে ঢাকার বাহিরে অথবা ঢাকার বাহির থেকে ঢাকায় প্রবেশে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যেন যাত্রীরা জড়ো না হতে পারে সে ব্যাপারে ফেরি কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।