অনলাইন ক্লাসের উপস্থিতি গণনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

শুভ জন্মদিন পঞ্চান্ন একর

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


দীর্ঘ ১৯ বছর শেষে ২০ তম বছরে পদার্পণ করলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আজ ৮ জুলাই, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ২০০১ সালের এই দিনটিতে মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের জন্য ২০১২ সালের ১৪ জুলাই ৭ম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫৫ একরে প্রতি বছর ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়।

২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে। এই এক যুগ পিছিয়ে পড়া সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদে আইন পাসের পর ২০০১ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯ জুলাই রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হিসেবে প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানকে নিয়োগ প্রদান করেন।

কিন্তু ততকালীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় । চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০২ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করে এবং উপচার্য প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানের নিয়োগ বাতিল করে তাঁকে তাঁর পূর্বের প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দেয়।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা লাভের পর ২০০৯ সালে প্রকল্পটি পুনরায় চালু করে এবং ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ আইন-২০০১ বাস্তবায়নের জন্য এসআরও জারি করা হয়।

যার প্রেক্ষিতে ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানকে পুনরায় ৪ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। পরবর্তীতে, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৫টি বিভাগে ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭টি অনুষদ এবং ৩টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, সূচনালগ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় নানা সমস্যার সম্মুখীন। বর্তমান সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সমস্যা থাকলেও ভবিষ্যতে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তারা।

কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশ করে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আজ আমাদের স্থায়ী ট্রেরেজার, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য সহ গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় হতাশা ব্যাক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) তার শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন(ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ একবিংশ শতাব্দীর চালেঞ্জ মোকাবিলা করে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বিনির্মানের পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপন হচ্ছে। কারণ সারাবিশ্বে প্রতিটি মানুষ করোনা ভাইরাস নামক এক অদৃশ্য শক্তির সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। মহামারির এই সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব মেনে ঘরে থাকার কথা বলেন তিনি।

শেষে ব’লেন, জ্ঞান -বিজ্ঞান ও শিক্ষা গবেষণায় দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ ভূমিকা পালন করবে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *