মাজেদুল ইসলাম
শেকৃবি প্রতিনিধি
গত ১৪ই আগষ্ট দায়িত্ব শেষ করলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠতম ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.কামাল উদ্দিন আহমদ।
শেকৃবির প্রশাসনকে পুনরায় নতুনভাবে গোছানোর জন্য নতুন ভিসি হিসেবে কে ভিসির আসন উজ্জল করতেছেন? এ নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যক্তিদের মাথায় ঘুরতে নানা জল্পনা- কল্পনা।
ভিসি নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশের সবচেয়ে বড় ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন প্লাটফর্ম “সাউ ফ্যামিলি” তে চলছে নানান মন্তব্য। কি ধরনের ভিসি শিক্ষার্থীরা কামনা করে এ প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীরা জানায়- ভিসি হবে
১.শিক্ষার্থীবান্ধব
২.গবেষণার মান উন্নয়নে নিরন্তর চেষ্টাকারী
৩.নিজের খেয়ালখুশিমতো স্হাপনা তৈরী না করে ছাত্র সংসদের ব্যবস্হা করে ছাত্র সংসদের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে বিভিন্ন স্হাপনা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা।
৪.শিক্ষার্থীদের যেকোন প্রয়োজনে উদার মানসিকতা নিয়ে পাশে দাড়ানো.
৫.বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তির পথ সুগম করা
৬.ক্লাস সুন্দর ভাবে পরিচালিত করার জন্য সুব্যবস্হা,শিক্ষকদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্লাস ঠিকমতো হচ্ছে কিনা এসব মনিটরিং করা ইত্যাদি
আমরা জানি,বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ হয় রাস্ট্রপতি কর্তৃক। প্রায়সময় দলীয় মদদপুষ্ট , স্বজনপ্রীতি এবং লোবিং এর বিষয়টাকে প্রাধান্য দেয়া হয়!!!!
শেকৃবির ভিসি পদ পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় হাফ ডজনেরও অধিক শিক্ষক । সদ্য সাবেক উপাচার্য , উপ – উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও এই তালিকায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপ – উপাচার্য ও জিনতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড . মােঃ শহিদুর রশিদ ভূইয়া , শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড . নজরুল ইসলাম , কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড . অলােক কুমার পাল এবং কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড . মােহাম্মদ আলী ।
সবার চেষ্টার অবসান ঘটিয়ে খুব শীঘ্রই শেকৃবি পরিবার দ্রুতই পাবে তাদের নতুন অভিভাবক। ভিসি যেই হোক না কেন, শিক্ষার্থীদের চাওয়া পাওয়া পূর্ন করার চেষ্টা করবে এমন শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি প্রত্যাশী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী।