সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত যবিপ্রবির শিক্ষার্থী

যবিপ্রবি টুডে


সড়ক দুর্ঘটনায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের রোকাসানা জামান ঐশী নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন ।

জানা যায়,সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ক্যাম্পাসের প্রধান গেটের সামনে বেলা দুইটার দিকে যশোরের চৌগাছা উপজেলাথেকে শহরের দিকে আগত একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন যবিপ্রবির শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলে থাকা এক নারীও।

এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায় , ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের স্যামনের সড়ক পার হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকছিলেন।তখন একপাশে যশোর-চৌগাছা রুটের এটি বাস যাত্রী তুলছিলো ও শহর থেকে চৌগাছার দিকে একটি এম্বুলেন্স যাচ্ছিলো। এ সময় বিপরীত দিক থেকে যশোর শহরমুখী মোটারসাইকেলের চালক এম্বুলেন্স ও বাসকে সামলে ঘুরে বের হতে গিয়ে ব্রেকফেল করেন এবং গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান ও ঐশীর মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি ধাক্কায় দাঁতসহ মুখে প্রচন্ড আঘাত পান।চালকসহ মোটরসাইকেলে থাকা নারী পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে যান।

দুর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই উপস্থিত ঐশীর সহপাঠীরা ও গেটের সামনে থাকা দোকানদারেরা তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম আর খান মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান।

মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেন এবং তাদেরকে যশোর সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে তাদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঐশী দাঁতে গুরুতর ব্যথা পেয়েছেন এবং চৌগাছার মেয়েটি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাদেরকে যশোর শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি সুচিকিৎসার জন্য।”

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে কয়েকবার এরকম দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে এই রকমই একটা দুর্ঘটনা ঘটার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনে নামে। পরের দিনে যশোর শহরস্থ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে বিশাল মানববন্ধন এবং ক্যাম্পাসের সম্মুখের যশোর-চৌগাছা সড়কে গতিরোধক নির্মাণ,
কংক্রিটের ফুটপাত নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের চাপে পড়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে ক্যাম্পাসের
সম্মুখে গতিরোধক নির্মাণ করে দেয়।

কিন্তু কয়েকমাস পরে করোনাকালিন সময়ে সড়ক পুনর্নির্মাণের সময়ে সেই গতিরোধক তুলে ফেলা হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি অতিসত্বর ক্যাম্পাসের সম্মুখে
গতিরোধক নির্মাণ সহ ফুটপাত এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment