সারাদেশ টুডেঃ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাতক্ষীরা জেলার বিশেষ করে শ্যামনগর, আশাশুনি উপকূল অঞ্চলের নদনদী উত্তাল। গতকাল রাত থেকে থেমে থেমে দমকা হাওয়া সহ ভারি বৃষ্টি হচ্ছে এখনও অবধি। স্বাভাবিকের থেকে ৫-৭ ফুট জোয়ারের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া।
এমতো অবস্থায় শ্যামনগর ও আশাশুনির অন্তত ৪৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ছুটছে আশ্রয় কেন্দ্রে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, উপকূলীয় এলাকার ১৮৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন।
২৩৪৯০টি প্রাণী নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়েছে। কাজ করে যাচ্ছে ১০৩টি মেডিকেল টিম।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বিষয়ে সতর্ক করে উপকূলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বত্র মাইকিং করছে সিপিপি সদস্যরা। টানানো হয়েছে লাল পতাকা। উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা, পদ্মপুকুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ করছেন প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস।
সাতক্ষীরা জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন , পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে উৎপত্তি ঘূর্ণিঝড় আম্পান বর্তমানে সাতক্ষীরা উপকূল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে।এটি আজ বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের সুন্দরবন এলাকায় দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।এ সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সাথে প্রবল বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।