ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ মিরপুরের পল্লবীর চাঞ্চল্যকর ঘটনা সাহিনুদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মানিক র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার দু’দিনের মাথায় ডিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে একই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া মনির।
২৩ মে সকালে পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক বুলবুল এ কথা জানিয়েছেন। আজ ভোররাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় আসামির নাম মনির।
উপ-পরিদর্শক বুলবুল বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের একটি জোনাল টিমের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে গুরুতর আহত হয় মনির। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের একটি টিম এখন অবস্থান করছে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র্যাব-৪ এর একটি দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় মানিক।
গত রোববার (১৬ মে) বিকেল ৪টায় জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সন্তানের সামনেই বাবা সাহিনুদ্দিনকে পল্লবীর ডি-ব্লকের একটি বাড়ি সংলগ্ন সড়কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
রাজধানীর পল্লবীর ডি–ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে সংঘঠিত ওই রোমহর্ষ ঘটনার ৩১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে যে দুজন হামলাকারীকে দেখা গেছে, তারা হলেন আগেরদিন বন্দুকযুদ্ধে নিহত মানিক ও আজ বন্দুকযুদ্ধে নিহত মনির।
নিহত সাহিনুদ্দীনের মা আকলিমা ১৭ মে পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ৩ আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মো. আউয়াল, চাঁদপুরের হাইমচর থেকে মো. হাসান ও জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।