আন্তর্জাতিক টুডে
সাম্প্রতিক সময়ের সবথেকে আলোচিত একটি বিষয় করোনা ভাইরাসের। তবে দ্য সানডে টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে,সাম্প্রতিক সময় নয় বরং সাত বছর আগে চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো ভাইরাসের নমুনার সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে নভেল করোনাভাইরাসের।
দ্য সানডে টাইমসের মাধ্যম দিয়ে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ২০১৩ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের একটি পরিত্যক্ত তামার খনিতে বাদুড়ের মল পরিষ্কারের কাজে নিযুক্ত ছয়জন কর্মী তীব্র নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন মারা যান। বাদুড় থেকেই তাঁদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়। সে সময় ওই ভাইরাসের হিমায়িত নমুনা উহানের একটি ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। ওই সময় আক্রান্তদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা জরুরিকালীন বিভাগের এক চিকিৎসাকর্মী এমনটা জানান।
এমন ঘটনার পর ওই খনিটি খতিয়ে দেখেন উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বাদুড় থেকে উদ্ভূত সার্সের মতো করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ শি ঝেংলি।
উল্লেখ্য,বাদুড়ের গুহায় অভিযানের জন্য শি ঝেংলি ‘ব্যাট ওম্যান’ নামে পরিচিত। কোভিড-১৯-এর প্রকোপের মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে শি বলেছিলেন, ২০১৩ সালে ইয়ুনানের খনি থেকে পাওয়া ‘র্যাটজি১৩’ ভাইরাস নমুনার সঙ্গে কোভিড -১৯ এর মিল ৯৬.২ শতাংশ। সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এটা ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে ইয়ুনানের পরিত্যক্ত খনিতে পাওয়া ওই ভাইরাসই ‘র্যাটজি১৩’।
গত মে মাসে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজির পরিচালক জানিয়েছিলেন, ‘র্যাটজি১৩’ ভাইরাসের আর কোনো ‘লাইভ কপি’ ল্যাবে নেই। তাই ল্যাব থেকে এ ভাইরাস কোনোভাবে ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব ব্যাপার। উহান থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাসজনিত মহামারির উৎস যে উহানের ল্যাব, এমন কোনো প্রমাণ নেই। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মে মাসে দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে এ ব্যাপারে প্রমাণ রয়েছে। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তেমন কোনো তথ্য ছিল না।
অন্যদিকে ভিন্নমত পোষণকারী বিজ্ঞানীদের উদ্ধৃত করে সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, খনিতে পাওয়া নমুনাগুলোর মধ্যে কয়েক দশকের বিবর্তনজনিত পার্থক্য থাকতে পারে। সানডে টাইমস জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তাদের প্রশ্নের কোনো জবাব উহান ল্যাব থেকে পাওয়া যায়নি।