সিলেট সফর: টারশিয়ারি যুগের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সন্ধানে

সিলেট সফর

হুদয় পাল


প্রকৃতি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মুগ্ধতা আমাদের সবসময় আকর্ষিত করে।পাহাড়,চা বাগান,প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র,পাথর,নদী সবমিলিয়ে পরিপুষ্ট এক ক্ষেত্র সিলেট। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীরা(২৭ তম ব্যাচ)মিলে বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্যের আধার সিলেট বিভাগে সফরে গিয়েছিলাম এ বছরের ৩রা মার্চ।

৩রা মার্চ বিকাল তিনটায় আমরা রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে পূর্বে নির্ধারিত বাসে যাত্রা শুরু করি।হৃদয়ে একরাশ আবেগ,উৎফুল্লতা নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি,ক্যাম্পাস থেকে আমাদের সঙ্গ দিয়েছিলেন শ্রদ্ধেয় ড.মনজুর রহমান স্যার এবং শ্রদ্ধেয় খন্দকার আরিফা আক্তার ম্যাম।বাস যাত্রা করে কুষ্টিয়া পৌঁছালে আমাদের সাথে যুক্ত হন প্রাণপ্রিয় ড.রশিদুজ্জামান স্যার।

এরপর আমরা হৈ-হুল্লোড় ও মজা করতে করতে সিলেট পৌঁছে যায়।সিলেটে আমাদের রাত্রিযাপন ও বিশ্রামের জন্য ‘সিলেট কৃষি ইন্সটিটিউট’কে বেছে নিয়েছিলাম।সকাল আটটায় আমরা প্রতিষ্ঠানটিতে পৌঁছায় এবং নয়টায় সিলেটের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য রওনা হয়।

প্রথমেই আমরা হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র দর্শন করি,এরপর ইবি থানার সাবেক ওসি ও বর্তমান জৈন্তাপুর থানার ওসি রতন শেখ আমাদের জৈন্তাপুর রাজবাড়ী ঘুরিয়ে দেখান এবং সেখানকার ইতিহাস বর্ণনা করেন।এরপর আমরা জাফলং এ প্রকৃতির অপার মহিমায় নিজেদের আবেশিত করি।জাফলং থেকে ফিরে আসার সময় আমরা কিছুক্ষণ তামাবিল সীমান্তে অবস্থান করি।

অতঃপর রাতে আমরা সারাদিনের ভ্রমণের ক্লান্তি ভুলে গল্প,গান, আড্ডায় মেতে উঠি।পরদিন সকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা বিভাগ আমাদের সাদরে গ্রহণ করে এবং তাদের আতিথেয়তা সত্যি মুগ্ধকর ছিল।

এরপর আমরা বাংলার কাশ্মীর খ্যাত সাদা পাথরের দেশ,ভোলাগঞ্জ যায়,সেখানকার প্রকৃতির অপরূপ ছটা জীবনব্যাপী সুখস্মৃতি হয়ে থাকবে।পরদিন চটজলদি তৈরি হয়ে আমরা মৌলভীবাজারের উদ্দেশ্য গমন করি এবং সেখানকার লাউয়াছড়া জঙ্গলে প্রকৃতির আদিম সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি।

ফেরার দিন রাতে শ্রদ্ধেয় রশিদুজ্জামান ও মনজুর স্যার এর নেতৃত্বে অন্ত্যক্ষর প্রতিযোগিতায় ছেলেদের দল বিজয়ী হয়।এবং অনেক মজা,আনন্দ-উল্লাস,হৈ-হুল্লোড় এর মাধ্যমে ৬ মার্চ সকাল ছয়টায় আমাদের ভ্রমণ শেষ হয়।ধরণীর আশীর্বাদপুষ্ট সিলেট ভ্রমণের অভিজ্ঞতা চিরকাল আমাদের হৃদয়ে এক অনন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে।

তাই মন বলে ওঠে-
ঘরে না রইতে পারি, পথেই আমার মন
সারাজীবন মনে রবে, চিরসঙ্গী ভ্রমণ ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment